চট্টগ্রামে চাঞ্চল্যকর শিশু ধর্ষণের ঘটনাকে ভিন্নখাতে নেয়ার চেষ্টা :

নূন্যতম সম্পৃক্ততা থাকলে আমি মুখ দেখাবো না!

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় চাঞ্চল্যকর শিশু ধর্ষণের ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আলী শাহ। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে আমার নূন্যতম স¤পৃক্ততা থাকলে আমি আমার মুখ আপনাদের দেখাবো না। যদি কেউ সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দিতে পারে তাহালে আমি নিজের বিচার নিজেই করব। ঐ ঘটনাটি ঘটেছে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মিনাগাজীর টিলা এলাকায়। ধর্ষিতার মায়ের অভিযোগ, তাদের প্রতিবেশি হাজী শাহ আলম ফুসলিয়ে তার মেয়েকে ধর্ষণ করে। এতে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়লে শাহ আলমের পরামর্শে তার গর্ভপাত ঘটানো হয়।

গত ৭ মে রাঙ্গুনিয়া থানায় অভিযোগ দাখিলের পর পুলিশ শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করলেও পরে ছেড়ে দেয়। উল্টো তার ১৪ বছর ৬ মাস বয়সী ছেলেকে আপন বোনের ধর্ষক বানিয়ে জেলে পাঠিয়ে দেয়। গত ২৫ মে আদালতে দায়ের করা এক মামলার এজাহারে ধর্ষিতার মা অভিযোগ করেন, উপজেলা চেয়ারম্যান সরকারি গাড়িতে করে শাহ আলমকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান। আর রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি হুমায়ন কবির ও এস আই মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় টাকার বিনিময়ে শাহ আলমকে বাদ দিয়ে ধর্ষিতার বড় ভাইকে ধর্ষক সাজিয়ে গ্রেপ্তার করেছে। পরে ধর্ষিতার মায়ের দায়ের করা মামলার এজাহারে নাম আসার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মোহাম্মদ আলী শাহ। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, আমি কি এতই ক্ষমতাধর যে আমার কথায় ওসি মামলা করবে, তা-ও আবার ভিকটিমের ভাইকে আসামি করে? ওসি কেন আমার কথায় প্রভাবিত হবে? উনি কি আমার অধীনে চাকুরি করেন? বর্তমান ওসি রাঙ্গুনিয়ায় যোগদানের পর আমি কোনদিন থানায়ও যাইনি। হাজী শাহ আলমের বাড়িঘরও মোহাম্মদ আলী শাহ চেনেন না বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান মোহাম্মদ আলী শাহ। তিনি আরো বলেন, আমি ছাড়া আর কোন জনপ্রতিনিধি এ পর্যন্ত এই অমানবিক, বর্বর, নিষ্ঠুর ঘটনার প্রতিবাদ করেনি।



মন্তব্য চালু নেই