নু-হরিণের জন্য কুমির এবং জলহস্তীর যুদ্ধ (ভিডিও)

দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি পুকুরে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী একটি নু-হরিণ নিয়ে কুমির ও জলহস্তীর মধ্যে যুদ্ধ করতে দেখা যায়। এই মর্মস্পর্শী চিত্রটি ছবিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। নু-হরিণটি তার পানির পিপাসা মেটানোর জন্য পুকুর পাড়ে গিয়েছিল। নু-হরিনটি এভাবে কারও খাবার হয়ে যাবে, এ সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞাত ছিল।

নু-হরিণটি এই গরমে পানি পানের জন্য পুকুরে মুখ দিলে একটি ক্ষুধার্ত কুমির তাকে টেনে পানিতে নিয়ে যায়

নু-হরিণটি এই গরমে পানি পানের জন্য পুকুরে মুখ দিলে একটি ক্ষুধার্ত কুমির তাকে টেনে পানিতে নিয়ে যায়। কুমিরটি অনেক শক্তিশালী হবার কারণে হরিণটির ঘাড়ে কামড় দিয়ে টেনে নিয়ে যায়। নিরীহ হরিণটি তখন কিছুই করতে পারে নি।

n1

 

 

এখানেই শেষ নয়, তখন একটি জলহস্তী কুমিরের সাথে এসে যুদ্ধ শুরু করে, হরিণটিকে খাবার জন্য। অনেকক্ষণ পর্যন্ত এই যুদ্ধ ও সংগ্রাম চলতে থাকে। যুদ্ধের শেষ বিজয় কুমিরের হয়। জলহস্তী কুমিরের সাথে পেরে উঠতে পারে নি। তাছাড়া, নু-হরিণটি প্রথম থেকে কুমিরের শিকার ছিল।

জলহস্তী খুবই আক্রমণাত্মক প্রকৃতির। এরা আফ্রিকার সবচেয়ে মারাত্মক প্রাণী। মানুষের জন্য এরা অতি বিপদজনক। যখন জলহস্তী ও কুমিরের যুদ্ধ শুরু হয়েছিল, তখন পরিস্থিতি অনেক ভয়াবহ রূপ নেয়। একই সাথে বসবাসের ফলে এদের সংঘর্ষ বিরল নয়।

এই যুদ্ধ ও সংগ্রাম চলতে থাকে। যুদ্ধের শেষ বিজয় কুমিরের হয়

n2

দক্ষিণ আফ্রিকার একটি ফার্মাসিউটিকাল কোম্পানির ৬০ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব গুদস দক্ষিণ আফ্রিকার সাবি স্যান্ড সাফারি পার্কে এই দৃশ্যটি দেখতে পান এবং তিনি এই অত্যাশ্চর্য দৃশ্য ক্যাপচার করেন।

তিনি জানান, এই যুদ্ধটি পুরো এক ঘণ্টা যাবত চলতে থাকে। দৃশ্যটি অনেক হৃদয়স্পর্শী ছিল। তারা দোয়া করছিলেন, যেন নু-হরিণটি বেঁচে আসতে পারে। কিন্তু ঐ দুই নৃশংস প্রাণীর হাত থেকে বাঁচা সম্ভব নয়। এক ঘণ্টা পর কুমির জয়ী হয়।

তিনি আরও জানান, যখন কুমির ও জলহস্তী হরিণকে নিয়ে টানাটানি করছিল তখন হরিণটি অনেক চুপচাপ ছিল। তাদের দুইজনের সংগ্রামের মাঝে এটি খুব শান্ত ছিল। পানির ভিতর নিয়ে যাবার কারণে এটি প্রথমেই নিস্তব্ধ হয়ে যায়।

সাফারিতে চলাচলের সময় নিজের দিকে অনেক লক্ষ্য রাখতে হয় এবং সাবধান থাকতে হয়। কখনও কখনও জিপের মধ্যে নিরাপদ মনে হলেও গুল্ম জিপের উপর পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। জীবন ও মৃত্যুর মাঝে একটি ভারসাম্য রয়েছে, যা সাফারি পার্কে বোঝা যায়। কারণ, জীবন ও মৃত্যুর মাঝে ক্ষণিকের পার্থক্য মাত্র।

সূত্র: টেলিগ্রাফ।



মন্তব্য চালু নেই