নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস ঘরে, প্রাণ গেল ঘুমন্ত দম্পতির

রাজশাহীতে চালক ঘুমিয়ে পড়ায় একটি বাস বাড়িতে ঢুকে পড়েছে। এ ঘটনায় এক ঘুমন্ত দম্পতির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তবে অক্ষত রয়েছে তাদের তিন শিশু সন্তান। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১০ জন।

মঙ্গলবার রাত পৌনে ২টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর বহরমপুর রেলক্রসিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- বহরমপুর রেলক্রসিং এলাকার বাশির হোসেন ও তার স্ত্রী রেশমা বেগম।

নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমান উল্লাহ জানান, রাত পৌনে ২টার দিকে কেয়া পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা মেট্রো-ব ১১-৭২৮৪) চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকা যাচ্ছিল। এ সময় চালক ঘুমিয়ে পড়ায় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বশিরের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই বশির ও তার স্ত্রী মারা যান। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বাসের নিচ থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে। বশির রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তার স্ত্রীও গৃহকর্মীর কাজ করতেন।

তিনি আরও জানান, বাসটির কিছু অংশ বশিরের পাশের বাড়িতেও ঢুকে পড়েছে। এতে দিপু মিয়া ও চম্পা বেগম নামে এক দম্পতি গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর দুর্ঘটনার পরই বাসচালক, সুপারভাইজার ও হেলপার পালিয়ে গেছে।

রামেক হাসপাতালের চিকিৎসক আরিফুল ইসলাম জানান, দিপু মিয়া ও চম্পা বেগম ছাড়াও আরও ছয় বাসযাত্রীকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছে।

তারা হলেন- মামুন, ফিরোজ, মানিক, এমদাদুল, উত্তম ও শরীফ। এছাড়া মোবারক ও টিপু নামে আরও দুই বাসযাত্রী প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। আহত বাস যাত্রীদের বেশিরভাগেরই বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জে।

আবুল কালাম আজাদ নামে ওই বাসের এক যাত্রী জানান, দুর্ঘটনার বেশ কিছুক্ষণ আগ থেকেই বাসের চালক তন্দ্রাচ্ছন্ন ছিলেন। কয়েকবার তাকে সতর্কও করেন যাত্রীরা। পরে বহরমপুর রেলক্রসিংয়ে বাঁক না নিয়ে চালক সরাসরি বাড়ির ভেতরে গাড়ি ঢুকিয়ে দেয়। এতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমান উল্লাহ জানান, বাসচালককে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ চেষ্টা করছে। দম্পতির মৃত্যুর ঘটনায় থানায় একটি মামলা করা হবে। আর দুর্ঘটনা কবলিত বাসটিকে উদ্ধার করে থানায় নেয়া হচ্ছে।



মন্তব্য চালু নেই