নিহত নারী জঙ্গির শরীরে বোমা বাঁধা ছিল

রাজধানীর দক্ষিণখান থানা এলাকার আশকোনা হাজি ক্যাম্পসংলগ্ন জঙ্গি আস্তানার ভেতর যে তিনজন অবস্থান করছিলেন, তাঁদের আত্মসমর্পণ করতে বলেছিল পুলিশ। কিন্তু প্রথমে তাঁরা আত্মসমর্পণ করতে চাননি। পরে এক নারী সাত-আট বছর বয়সী এক শিশুকে সঙ্গে নিয়ে কক্ষ থেকে বেরিয়ে এসে শরীরে বাঁধা বোমার বিস্ফোরণ ঘটান। সেই বোমায় নিহত হন তিনি।

বোমায় গুরুতর আহত হয় শিশুটি। পরে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠায়।

আজ শনিবার বেলা ৩টার দিকে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

প্রায় একই সময়ে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের (সিটি) প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, ভেতরে আরো একজন জঙ্গি রয়েছেন। তিনিও পুলিশের দিকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড ও গুলি ছোঁড়েন। পরে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। বর্তমানে ওই জঙ্গি বাড়ির ভেতরে কী অবস্থায়, তা জানা যায়নি।

মনিরুল আরো জানান, ওই বাড়ির ভেতর ঢোকার পর জানা যাবে জঙ্গি সদস্য বেঁচে আছেন কি না। তিনি বলেন, যেহেতু বাড়ির ভেতর বিপুল অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য রয়েছে, সেহেতু প্রথমে বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট যাবে। তারা বোমা নিষ্ক্রিয় করার পর ক্রাইম সিন ইউনিট আলামত সংগ্রহের জন্য ভেতরে যাবে। এর পরই অভিযানটি পূর্ণাঙ্গভাবে শেষ হবে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, সর্বশেষ ২টা ৫৫ মিনিটেও বাড়ির ভেতর থাকা জঙ্গি পুলিশের দিকে গুলি ছোড়ে এবং গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটায়।

এর আগে আজ দুপুর ১টার দিকে ডিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার ও বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটের প্রধান সারওয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, জঙ্গি সুমনের স্ত্রী ও জঙ্গি তানভীর কাদেরের ছেলেকে বারবার আত্মসমর্পণের কথা বলা হয়েছিল। তাঁরা রাজি হননি। পরে পুলিশ ওই ফ্ল্যাটে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে। ওই দুজন গ্রেনেড দিয়ে আত্মঘাতী হামলা চালান। এতে তাঁরা আহত হয়েছেন।

পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, বাড়িটিতে থাকা জঙ্গি ইকবালের শিশুসন্তানকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

গতকাল দিবাগত রাত থেকে বাড়িটি ঘিরে অভিযান চালায় পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের (সিটি) সদস্যরা। পরে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেয় পুলিশের বিশেষায়িত বাহিনী সোয়াত, বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট ও র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

সকালে ওই বাড়ি থেকে দুই মেয়েশিশুকে নিয়ে আত্মসমর্পণ করেন দুই নারী।



মন্তব্য চালু নেই