নিষ্প্রাণ সংসদে এমপিদের ‘আড্ডাবাজি’

দশম সংসদের চলমান অধিবেশন ক্রমেই নিষ্প্রাণ হয়ে যাচ্ছে। দিন যতই যাচ্ছে সদস্যদের উপস্থিতি ক্রমশ কমছে। যারা আসছেন তাদের অধিকাংশ সময় কাটাচ্ছেন খোশগল্প, আড্ডাবাজি আর পত্রিকা পড়ে। ফাঁকে ফাঁকে ঘুমাতেও দেখা যাচ্ছে অনেককে।

বছরের শুরুর এ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সংসদ সদস্যদের আলোচনায় ঘুরে ফিরে স্থান করে নিচ্ছে বিএনপির চলমান কর্মসূচি। বক্তব্য-পাল্টা বক্তব্যের তোড়জোর নেই। বিরোধী দলের আসনে বসা জাতীয় পার্টির সদস্যরা সরকারের সমালোচনার বদলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কণ্ঠ মিলিয়ে কথা বলছে।

১৯ জানুয়ারি শুরু হওয়া চলতি এ অধিবেশনে এ পর্যন্ত ১৮ কার্যদিবস পার হয়েছে। শুরুর পর প্রতিদিনই রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সাধারণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

অধিবেশনের শুরুতে মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের উপস্থিতিতে সংসদ কক্ষ সরগরম হলেও এখন অনেকটাই খালি। অনেক সদস্যই শুধু হাজিরা দিয়ে চলে যান। দিন শেষে ৮০ জনের বেশি সদস্যের উপস্থিতি নিশ্চিত করাই কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত অধিবেশন কক্ষে উপস্থিত ছিলেন মাত্র নয়জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী। তারা হলেন- কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক, পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নূ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি।

সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৭০ জনের মতো। যাদের বেশিরভাগই স্বতন্ত্র। অন্যদিকে ট্রেজারি বেঞ্চের মধ্যের প্রথম সারি ও বিরোধী দলের প্রথম সারি ছিল সম্পূর্ণ শূন্য।

মঙ্গলবার এমনিতেই উপস্থিতি কম তারওপর উপস্থিতদের অনেকেই আসন পরিবর্তন করে অন্যের আসনে বসে পাশ্ববর্তী সদস্যের সঙ্গে কথা বলায় ব্যস্ত।

রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সাধারণ আলোচনায় সরকারি দলের অধিকাংশ সদস্য বিএনপির সমালোচনা করছেন। কেউ কেউ বিএনপিকে বিরোধী দল হিসেবেও আখ্যায়িত করছেন। বিএনপির সমালোচনা করতে গিয়ে নির্ধারিত সময় শেষ করে ফেলছেন, ফলে অধিকাংশ সদস্য নিজ এলাকা নিয়ে কথা বলার সময়ই পাচ্ছেন না। উপরন্তু আলোচনা যা হচ্ছে সবই একতরফা।



মন্তব্য চালু নেই