নির্যাতন-হত্যা লিবিয়ায় সাধারণ ঘটনা : জাতিসংঘ

জাতিসংঘের নতুন এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্যাতন-হত্যা এখন লিবিয়ার সাধারণ ঘটনা। সব পক্ষই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত।

বিবিসি অনলাইনের এক খবরে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দখলদারী করার জন্য লড়াইরত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মানবাধিকার লঙ্ঘনের এই চিত্র যুদ্ধাপরাধের শামিল। এই গোষ্ঠীগুলোর শিকার হয়েছে সাধারণ মানুষ, যাদের বন্দি করে নির্যাতন করা হয়েছে। সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীরাও তাদের শিকারে পরিণত হয়েছে। তাদের ওপর নির্মমভাবে নির্যাতন চালানো হয়েছে এবং অনেককে হত্যা করা হয়েছে।

২০১১ সালে স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির মৃত্যুর পর ‘লুটের দেশ’ হয়েছে লিবিয়া। যে যেভাবে পারছে লুটেপুটে খাচ্ছে, দখলবাজি করছে। লিবিয়ায় দুইটি সরকার বিদ্যমান। সম্প্রতি দুই সরকার এক হয়ে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু তাদের মধ্যে বিভেদ পুরোপুরি শেষ হয়নি। এই সুযোগে অন্য গোষ্ঠীগুলো, যারা লিবিয়ায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চেষ্টা করছে, যেমন ইসলামিক স্টেট (আইএস), আল-কায়েদার মতো জঙ্গিগোষ্ঠী সন্ত্রাসী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। শতাধিক সশস্ত্র গ্রুপ লিবিয়ায় নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টায় লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, নারী-শিশু, সাধারণ লোক কোনো কিছু বিবেচনা না করেই সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো হামলা চালাচ্ছে। তাদের কাছে সাধারণ বলে কেউ। ‘হয় দলে যোগ দাও, না হয় মরো’ স্টাইলে চলছে তারা। যৌন হয়রানিও সাধারণ চিত্র হয়ে গেছে। নালিশ জানানোর কোনো জায়গা নেই। বিভৎস!



মন্তব্য চালু নেই