নির্বাচন আটকে দিল পুনর্গঠন!

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের কারণে আপাতত দল পুনর্গঠন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের এমন নির্দেশ দিয়েছেন দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। শিগগিরই জেলার দায়িত্বপ্রাপ্তদের চিঠি দিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।নতুন নির্দেশনা দলের জাতীয় কাউন্সিল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলেও জানা গেছে।

শুধু তাই নয়, নতুন করে কোনো অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কমিটিও না করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

আগামী ২২ মার্চ প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৭৫২টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচন। এরপরেও পাঁচ দফা ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে স্থানীয় নেতাদের সুপারিশে পাঠানো চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার কাজ শুরু করেছে বিএনপি। আজ (শুক্রবার) থেকে তা প্রার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

অন্যদিকে স্থান না পেলেও এখন পর্যন্ত আগামী ১৯ মার্চ দলের ষষ্ঠ কাউন্সিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। ইতোমধ্যে সার্বিক প্রস্তুতিও নেয়া শুরু করেছে দলটি।

দল পুনর্গঠনে পদ পদবী পাওয়া না পাওয়া নিয়ে তৃণমূলে দলীয় কোন্দল মাথাচাড়া দিতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে খালেদা জিয়া এই কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে। তার ধারণা, পদ হারালে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করবে। যার প্রভাব পড়বে ইউপি ভোটে। সে কারণে আগাম সতর্কতার জায়গা থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি নীতিনির্ধারকদের।

গত ৯ আগস্ট এক চিঠির মাধ্যমে সারাদেশে সাংগঠনিক পুনর্গঠন কার্যক্রম শুরুর নির্দেশ দেয় বিএনপি। নির্দেশনা অনুযায়ী কার্যক্রমও শুরু হয়। তবে সেপ্টেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশনা থাকলেও চলতি মাস পর্যন্ত ৭৫ সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ১২টি জেলার পুনর্গঠন করা হয়। এ ছাড়া গাইবান্ধা, ঠাকুরগাঁও, নোয়াখালী, মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী, কুষ্টিয়া, খাগড়াছড়িসহ আরও অন্তত ২০টি জেলা কাউন্সিল উপযোগী। বেশ কয়েকটি জেলায় দিনক্ষণও নির্ধারিত হয়। কিন্তু বিএনপির হাইকমান্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী তা স্থগিত রাখা হয়েছে। আরো অন্তত ১৫ থেকে ২০টি জেলা কমিটি ভেঙে দেওয়ারও চিন্তাভাবনা ছিল বিএনপিতে। আপাতত ওইসব জেলাও হাত দিতে মানা করা হয়েছে।

যদিও বিএনপির শীর্ষ নেতারা বলছেন, বন্ধ না স্থগিত নয়। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যাতে কোনো ব্যাঘাত না ঘটে সে কারণে একটু ধীরগতিতে করার কথা বলা হয়েছে। তবে এটা আপাতত বন্ধই ধরতে পারেন।

সাংগঠনিক পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত বিএনপির একজন কেন্দ্রীয় নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এমন সিদ্ধান্তের ফলে তৃণমূলে যে চাঙ্গাভাবের সৃষ্টি হয়েছিল তাতে ভাটা পড়বে। তবে ওই গতি ইউপি নির্বাচনে ব্যবহারের জন্যই সাংগঠনিক পুনর্গঠন কারর্যক্রম আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।এতে যারা পদ হারানোর ভয়ে ছিলেন তারা লাভবান হয়েছেন। আর যারা পদপ্রত্যাশী ছিলেন তাদের মধ্যে হয়তো কিছুটা ক্ষোভের সৃষ্টি করবে।’ঢাকাটাইমস



মন্তব্য চালু নেই