নির্বাচনে না গেলে বিএনপির নিবন্ধন বাতিল হতে পারে

সাবেক নির্বাচন কশিনাররা বলছেন, বিএনপি যদি একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ না নেয় তবে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী নিবন্ধন বাতিল হবে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিএনপি যদি মূলধারার রাজনীতিতে থাকতে চায় তবে দলটিকে নির্বাচনে আসতেই হবে। অন্যথায় দলটির অবস্থাও মুসলিম লীগের মতো হতে পারে। বিশ্লেষকরার বলছেন, সাংগঠনিক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারলে বিএনপি নির্বাচনে ভালো করবে।

দুর্নীতির মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছে দলের নেতারা। তারা বলছেন, বিএনপি চেয়ারপারসনকে ছাড়া জাতীয় নির্বাচনে যাবে না। খালেদা জিয়াকে ছাড়া দেশে নির্বাচন হতে দেয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন তারা।

তবে দশম সংসদ নির্বাচনের চেয়ে এবারের পরিস্থিতি বিএনপির জন্য ঘোলাটে। দলটি যদি এবারও নির্বাচনে অংশ না নেয় তবে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী নির্বাচনের রাজনীতিতে থাকার বৈধতা থাকবে কি-না সে প্রশ্নেও চলছে জোর আলোচনা। এ বিষয়টিরই ব্যাখ্যা দিয়েছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন।

তিনি বলেন, ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী পরপর দুইবার যদি কোন নিবন্ধিত দল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদন্দ্বীতায় না যায় তাহলে তাদের নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে।’

অন্যদিকে, নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের মতে, গত নির্বাচনে অংশ না নিয়ে ভোট বর্জনের ট্রাম্পকার্ড আগেই হারিয়েছে বিএনপি। আর সে কারণেই, ভবিষ্যত বিবেচনায় বাস্তবভিত্তিক সিদ্ধান্ত নেয়ার পরামর্শ তাদের।

এ প্রসঙ্গে জানিপপ চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, ‘মুসলিম লীগ যেমন রাজনৈতিক রণনীতি এবং রণকৌশল পদ্ধতির ভুল ব্যবহার করায় জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, বিএনপি যদি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেয় ও কৌশল গ্রহণ করে তাহলে ইতিহাসের অনিবার্য বাস্তবতার শিকার হতে পারে।’

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী মনে করেন, বিএনপির মতো বড় দলকে বাদ দিয়ে আরেকটি জাতীয় নির্বাচন করার ঝুঁকি নেবে না সরকার। বিএনপিকে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।

চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে নির্বাচনে প্রশ্নে বিএনপি নেতাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার কথাও বলছেন এই রাজনীতি বিশ্লেষক। সূত্র: ইনডিপেন্ডেন্ট টিভি



মন্তব্য চালু নেই