নির্বাচনী ব্যয় জমা দিয়ে নিবন্ধন রক্ষা করল জাপা

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দলের নির্বাচনী ব্যয় বিবরণী জমা না দেয়ায় ১০ হাজার টাকা জরিমানাসহ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যয় বিবরণী নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দিয়েছে জাতীয় পার্টি (জাপা)।

বুধবার দলটির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু স্বাক্ষরিত নির্বাচনী ব্যয়ের এ হিসাব নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হয়। দশম সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি প্রায় আড়াই কোটির টাকারও বেশি টাকা ব্যয় হয়েছে। জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে ৮৬ প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।

ব্যয় বিবরণীতে জাতীয় পার্টি মহাসচিব উল্লেখ করেন, ‘নির্বাচনী আইন মেনে জরিমানা পরিশোধ করে দলের নির্বাচনী ব্যয় বিবরণী জমা দেয়া দিয়েছে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটির প্রচারণা, সভা-সমাবেশসহ বিভিন্ন খাতে ২ কোটি ৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।

এর আগে গত ১১ জুন ১৫ দিনের সময় বেঁধে দিয়ে জাতীয় পার্টিকে (জাপা) ১০ হাজার টাকা জরিমানাসহ ব্যয় বিবরণী জমা দেয়ার জন্য চিঠি দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ৪৪ সিসিসি-বিধি ৫ অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনী ব্যয় জমা না দিলে ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে হিসাব জমা দেয়ার সুযোগ পাবে। তবে ১৫ দিনের মধ্যে ব্যয় বিবরণী জমা না দিলে সেই দলের নিবন্ধন বাতিল করতে পারবে ইসি।

আরপিও মোতাবেক, নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট হওয়ার পর ৯০ দিনের মধ্যে দলের নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব জমা দেয়ার বিধান রয়েছে। সে হিসাবে ২৩ এপ্রিলের মধ্যে সব দলের নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব জমা দেয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল।

নির্বাচনে অংশ নেয়া ১২টি দলের মধ্যে ১১টি দল ইতোমধ্যে নির্বাচনী ব্যয় জমা দিয়েছে। এর মধ্যে সাতটি দল সময় মতো এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ চারটি দল সতর্ক করে চিঠি দেয়ার পর ব্যয় বিবরণী জমা দেয়।

সতর্ক করে চিঠি দেয়ার পর গত বুধবার ৫ জুন নির্বাচনে অংশ নেয়া দলের ব্যয় বিবরণী জমা দেয়ার শেষ সময় ছিল।

২৩ এপ্রিলের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো ব্যয় বিবরণী জমা না দেয়ার জন্য গত ৪ মে ইসি ১২টি রাজনৈতিক দলকে সতর্কীকরণ নোটিশ দিয়েছিল। চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ১১টি দল ব্যয়ের হিসাব জমা দিলেও জাতীয় পার্টি ব্যয় জমা দিয়ে ব্যর্থ হয়।

যে ১১টি দল ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছে সেগুলো হলো- আওয়ামী লীগ, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, তরিকত ফেডারেশন, বিএনএফ, জাতীয় পার্টি-জেপি, গণতন্ত্রী পার্টি, ন্যাপ, গণফ্রন্ট, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট।



মন্তব্য চালু নেই