‘নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপি নয়’

খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ‘একাদশ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচনকালীন সরকারে থাকতে পারবে না। কারণ, তারা সংসদে নেই। এ জন্য তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা বা সংলাপও হবে না। আগামী নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই হবে।’

শুক্রবার দুপুরে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহড়াকক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় খাদ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। মেয়র হানিফের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে সংগঠনটি।

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া’ এমন অভিযোগ করে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘শেখ হাসিনার কিছু হলে হুকুমের প্রধান আসামি হবে খালেদা জিয়া।’

তিনি বলেন, ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার আগে পরিকল্পনা করতে দুইবার হাওয়া ভবনে বৈঠক করা হয়েছিল। আর এই বৈঠকের মূল নায়ক ছিলেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বাংলা ভাইসহ সকল জঙ্গিবাদের জনক। তারেক রহমান এখনো লন্ডনে বসে জঙ্গিদের মদদ দিয়ে যাচ্ছেন।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ইয়াজউদ্দিনকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করে আপনারাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কবর রচনা করেছেন। ওই সময় যারা ক্ষমতায় ছিল তারা হাসিনাকে মাইনাস করতে চেয়েছিল। কিন্তু আমরা তা করতে দেয় নাই। আর কোনোদিন বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন ডেট ইস্যু।’

মেয়র হানিফ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘হানিফের আত্মা তখনই শান্তি পাবে, যখন এসব অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবো। যারা রাষ্ট্র ও ইতিহাস নিয়ে সড়যন্ত্র করে তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা নেই।’

সংগঠনের সহ-সভাপতি ড. ইনামুল হকের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালক বলরাম পোদ্দার, সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, সংগঠনের সহ-সভাপতি অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান।



মন্তব্য চালু নেই