নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত শিক্ষক শ্যামল কান্তি

এখনো নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন নারায়ণগঞ্জে লাঞ্ছিত স্কুলশিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত। বিভিন্ন হুমকির কথা উল্লেখ করে এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

আজ সোমবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শ্যামল কান্তি এসব কথা বলেন।

প্রবীণ এই শিক্ষক বলেন, ‘ফেসবুকে বলল যে শ্যামল কান্তি ভক্তের মৃত্যু চাই। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর চাই। এটা আমি ফেসবুকে দেখেছি। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। বর্তমানে মনে করেন আমি তো পুলিশ সাপোর্টে আছি, চিকিৎসাধীন আছি। আপাতত মনে হচ্ছে নিরাপদ আছি। কিন্তু ভতিষ্যতে কী হয় তাতো বলতে পারছি না।’

শরীর এখন আগের চেয়ে অনেকটা ভালো উল্লেখ করে শ্যামল কান্তি জানান, শরীর সুস্থ হলে ২৮ মে স্কুলে ফিরতে চান তিনি। তবে ফেসবুকে তাঁর মৃত্যুদণ্ড চেয়ে হুমকির কারণে আগামী দিনগুলোতে তিনি স্কুলে গিয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন।

গত ১৩ মে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্কুলের সামনের একটি মসজিদ থেকে হঠাৎ করেই মাইকে ঘোষণা করা হয় স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত ইসলামের বিরুদ্ধে কটূক্তি করেছেন এবং সেখান থেকে এলাকাবাসীকে স্কুল মাঠে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই দলে দলে স্কুলে ঢোকে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। তাঁরা স্কুলের দরজা ভেঙে ঢুকে প্রধান শিক্ষককে মারধর করে এবং তাঁকে অবরুদ্ধ করে রাখে।

পরে সেখানে পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হলে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানকে ঘটনাস্থলে আসার জন্য অনুরোধ করা হয়। সংসদ সদস্য উপস্থিত হয়ে প্রধান শিক্ষককে প্রকাশ্যে কান ধরে ওঠ-বস করার শাস্তি দেন।

কান ধরে ওঠ-বসের পর সমবেত জনতার কাছে করজোড়ে মাফ চাইতেও বাধ্য করা হয় ওই প্রধান শিক্ষককে। পরে সংসদ সদস্যের নির্দেশে প্রধান শিক্ষককে পুলিশের হেফাজতে স্কুল থেকে বের করা হয়। এর পর পুলিশ চিকিৎসার জন্য তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে।



মন্তব্য চালু নেই