নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন নই তবে সতর্ক আছি

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, এবারের ঈদে সামগ্রিক নিরাপত্তার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই, তারপরও আমরা সতর্ক রয়েছি। সব ধরনের নিরাপত্তা প্রস্তুতি আমরা গ্রহণ করেছি। ঈদ উপলক্ষে দশ হাজার পোশাকধারী পুলিশ, দুই হাজার সাদা পোশাকের পুলিশ এবং র‌্যাবসহ অন্যান্য বাহিনী নিরাপত্তা রক্ষায় নিযোজিত থাকবে।

তিনি বলেন, ঈদের জামাত উপলক্ষে জাতীয় ইদগাহ এবং বায়তুল মোকাররামে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যাবস্থা নেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় রাজধানী ঢাকার প্রত্যেকটি ঈদ জামাতের নিরাপত্তারও জোরদার করা হয়েছে।

তিনি আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দান পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘শহরের বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। ঈদগাহ, বায়তুল মোকাররম মসজিদসহ রাজধানীর বিভিন্ন ঈদ জামাতে পর্যাপ্ত সিসি টিভি থাকবে। যে কোনো ধরনের নাশকতা দমনে পুলিশের প্রস্তুতি রয়েছে।’

এবার পশুর চামড়া নিয়ে কোনো অঘটন ঘটবে না আশা প্রকাশ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘মওসুমি ব্যবসায়ীরা যেন কোনো প্রকার পেশীশক্তি ব্যবহার করতে না পারে সে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আগেই আমরা রাজধানীর বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও তার মালিকদের চিঠি দিয়েছি। তারা যেন নিজেরাও সতর্ক থাকে। কারণ পুলিশের পক্ষে প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে নিরাপত্তা দেয়া সম্ভব হবে না। আমরা সমন্বিতভাবে ঈদে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো। আমরা সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করছি। ঈদে পুলিশের টহল বাড়িয়ে দেবো। আশা করছি কোনো সমস্যা হবে না।’

রাজধানীবাসীকে নিরাপদ ঈদ উপহার দেয়ার জন্য পুলিশ কাজ করে যাবে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘যে কোনো ধরনের সন্ত্রাস মোকাবেলায় আমারা কাজ করে যাবো।’

এদিকে কোরবানি পশুর চামড়া যাতে পাচার না হতে পারে সেজন্য রাজধানীতে ১২টি চেকপোস্ট বসানো হবে বলে জানিয়েছেন কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

তিনি জানান, এ পর্যন্ত তেমন কোনো বড় ধরনের অঘটন ঘটেনি। কারণ আমরা আগে থেকেই এ ব্যাপারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি। পশুর হাট নির্দিষ্ট জায়গায় হয়েছে। চৌহদ্দির বাইরে যায়নি। চামড়া পাচার রোধে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

তিনি জানান, গাবতলী আবদুল্লাপুর রোডে গাড়ির চাপ আছে। মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে পারে এবং ফিরতে পারে সে জন্য পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবে।



মন্তব্য চালু নেই