নিজের সম্পত্তি বেচে দরিদ্রের মুখে খাবার তুলে দেন তিনি!

রাজনীতি, যুদ্ধ, আন্তর্জাতিক সম্মেলন কতকিছুই তো চলছে পৃথিবীজুড়ে৷ কত নাম দেখা যায় সংবাদ মাধ্যমে যারা এই বৃহৎ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত৷ কিন্তু এমন মানুষরা বোধহয় আড়ালেই থেকে যান যারা সারাজীবন মানুষের সেবায় নিজেদের নিয়োগ করেন৷

কোনও স্বার্থের কথা চিন্তা না করেই৷ কিন্তু এমন এক মানুষের সন্ধান দেব আজ৷ যিনি নিজে প্রচুর অর্থ এবং সম্পদের মালিক৷ কিন্তু এই অর্থ তার মনে কোনও লোভের সঞ্চার করেনি৷ বরং এই অর্থ কী ভাবে সাধারণের সেবায় নিয়োগ করা যায়, এই কথাই ঘোরে তার মাথায়৷

তিনি হলেন ভারতের চণ্ডিগড়ের জগদীশলাল আহুজা৷ ৮০ বছরের এই প্রৌঢ় গত ১৫ বছর ধরে স্থানীয় দরিদ্র মানুষের মুখে খাবার তুলে দেন৷ চণ্ডিগড়ে ‘বাবার লঙ্গর’ এক নামে পরিচিত৷ প্রত্যহ দরিদ্র মানুষের মুখে খাবার তুলে দেন তিনি৷ মানুষের সেবা করতে গিয়ে ইতিমধ্যে নিজের সম্পত্তি বিক্রি করেছেন৷ এই সম্পত্তির মূল্য প্রায় কয়েক কোটি৷

তাও দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতে এতটুকুও দ্বিধা বোধ করেননি ‘বাবা’৷ প্রতিদিন সকালে এসইউভি গাড়ি করে লঙ্গরে উপস্থিত হন তিনি৷ চাপাটি, ডাল, কলা এবং হালুয়া পরিবেশন করা হত দরিদ্রদের মধ্যে৷ শুধু খাবারই নয়, শীতের সময় দরিদ্র মানুষের মধ্যে তিনি কম্বল, চাদর, শীতবস্ত্রও বিলি করতেন৷

কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে বেশ অসুস্থ ‘বাবা’৷ তাই জানুয়ারির পর থেকে আর লঙ্গরে উপস্থিত নেই তিনি৷ বাবার আরোগ্য কামনায় এখন প্রার্থনা করছে গোটা চণ্ডিগড়৷ -সংবাদ প্রতিদিন



মন্তব্য চালু নেই