নিজেকে ‘জীবিত’ প্রমাণে ৪ বছর ধরে অনশন

কাদম্বনিকে মৃত ভেবে শ্মশানে পোড়াতে নিয়ে গিয়ে ফেলে আসা হয়। জীবিত কাদম্বনি ফিরে এলে পরিবারের লোকেরা তাকে মেনে নিতে পারে না। আতঙ্কিত হয়। ভুত মনে করে তাড়িয়ে দিতে চায়। তাই মনের দুঃখে কাদম্বনি পরে আত্মহত্যা করে।

তখন সবাই বুঝতে পারে যে, আগে সে মরেনি, এবারই মরলো। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘জীবিত ও মৃত’ ছোটগল্পের উপসংহারে তাই এরকম একটি বাক্য লেখা হয়েছে : কাদম্বনি মরিয়া প্রমাণ করিল, সে মরে নাই।

এবার হয়তো কদম্বনি ফিরে এসেছে পুরুষ হয়ে। ভারতের রাজধানী দিল্লির যন্তর মন্তরে গেলেই দেখা যাবে তাকে। ৩৫ বছর বয়সী সন্তোষ মুরত সিং। ২০১২ সাল থেকে চালিয়ে যাচ্ছেন অনশন আন্দোলন। একটাই দাবি- নিজেকে জীবিত প্রমাণ করা।

আগে তিনি বলিউড অভিনেতা নানা পাটেকরের বাড়িতে রাঁধুনি ছিলেন। তার জীবনে নাটকীয় পরিবর্তন আসে ২০০৬ সালে। আত্মীয়রা দাবি করে‚ মুম্বাইয়ে লোকাল ট্রেনে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় সন্তোষের। এমনকি শনাক্ত না হওয়া একটি মৃতদেহকে সন্তোষের বলে দাবি করে বসে তারা। আদায় করে নেয় ডেথ সার্টিফিকেট। পরে উত্তরপ্রদেশের বারানসিতে সন্তোষের পৈতৃক সম্পত্তিও হাতিয়ে নেয় তার আত্মীরা। এক গরীব মেয়েকে বিয়ে করার জন্যই নাকি তাকে এভাবে বঞ্চিত করা হয়।

সেই থেকে লড়াই করে যাচ্ছেন সন্তোষ। ব্যাগ ভর্তি নথিপত্র নিয়ে বসে আছেন যন্তর মন্তরে। যতোদিন না তিনি সরকারি খাতায় আবার জীবিত বলে প্রমাণিত হবেন ততোদিন নাকি চলবে এ লড়াই। অবশ্য পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বারানসির জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।



মন্তব্য চালু নেই