নিজামীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে কারাগারে আইনজীবীরা

মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর সঙ্গে দেখা করতে কাশিমপুর কারাগারে গেছেন তিন আইনজীবী।

বুধবার দুপুর দেড়টায় নিজমীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মশিউল আলম, মতিউর রহমান আকন্দ ও তার ছেলে ব্যরিস্টার নাজিব মোমেন কারাগারে প্রবেশ করেন। আপিল বিভাগের ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার জন্য রিভিউ আবেদনের বিষয়ে আলোচনা করবেন তারা।

নিজামীর ছেলে নাজিব মোমেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে সকালে কাশিমপুর কারাগারে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীকে মৃত্যু পরোয়ানা পড়ে শোনানো হয়। মৃত্যু পরোয়ানা শোনার পর নিজামী কারা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন, তিনি আপিল মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়ের রিভিউ চেয়ে আবেদন করবেন।

গত ৬ জানুয়ারি আলবদর নেতা মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে সংক্ষিপ্ত রায় দেন আপিল বিভাগ। এর দুই মাস পর প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাসহ চার বিচারপতির স্বাক্ষর শেষে মঙ্গলবার বিকেলে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন আদালত।

২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ একাত্তরে বদরপ্রধান ও জামায়াতের সহযোগী সংগঠন তৎকালীন ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতি মতিউর রহমান নিজামীকে ৮টি অভিযোগের মধ্যে ৪টিতে (২, ৪, ৬ ও ১৬ নম্বর অভিযোগ) মৃত্যুদণ্ড দেন। এ ছাড়া ১, ৩, ৭ ও ৮ নম্বর অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

আপিল বিভাগ পূর্ণাঙ্গ রায়ে বুদ্ধিজীবী হত্যা ও পাবনার সাঁথিয়ায় হত্যা ও ধর্ষণের দায়ে (২, ৪ ও ১৬ নম্বর) তিনটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। নিজামীর আপিল আংশিক মঞ্জুর করে তিনটি অভিযোগ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তিনটি অভিযোগের মধ্যে রয়েছে-পাবনার বাউশগাড়ি, ডেমরা ও রূপসী গ্রামের সাড়ে ৪০০ মানুষকে হত্যা ও ৩০-৪০ নারীকে ধর্ষণ, পাবনার ধুলাউড়ি গ্রামে নারী, পুরুষ, শিশুসহ ৫২ জনকে হত্যা এবং পরিকল্পিতভাবে বুদ্ধিজীবী গণহত্যা। ৪ নম্বর অভিযোগে পাবনার করমজা গ্রামে নয়জনকে হত্যা, ধর্ষণ ও লুটপাটের অভিযোগে ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ড হলেও আপিলে তিনি খালাস পান।

২০১০ সালের ২৯ জুন থেকে নিজামী গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে আছেন।



মন্তব্য চালু নেই