নিউইয়র্কে বাংলাদেশি ইমাম ও সহকারী গুলিতে নিহত

নিউইয়র্কের কুইন্সে বন্দুক হামলায় যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এক বাংলাদেশি ইমাম ও তার সহকারী নিহত হয়েছেন।

স্থানীয় সময় শনিবার স্থানীয় সময় ১ টা ৫০ মিনিটে কুইন্সের ওজন পার্কের রাস্তা দিয়ে হেঁটে বাসায় ফেরার পথে পেছন থেকে এক বন্দুকধারী তাদের মাথায় গুলি করে। ঘটনাস্থলে ইমাম নিহত হন এবং তার সহকারী পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তারা দুজন ওজন পার্কে আল-ফুরকান জামে মসজিদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

বিবিসি ও নিউ ইয়র্ক ডেইলি নিউজ অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, ইমাম মাওলানা আকুঞ্জি দুই বছর আগে বাংলাদেশ থেকে নিউ ইয়র্কে আসেন এবং সেখানে একটি মসজিদের ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। তার সহকারী ছিলেন তারা উদ্দিন (৬৪)। এ ছাড়া তাদের বিস্তারিত পরিচয় দেওয়া হয়নি।

নিউ ইয়র্ক ডেইলি নিউজ প্রত্যক্ষদর্শী এবং পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এক বন্দুকধারী ইমাম আকুঞ্জি ও তার সহকারী তারা উদ্দিনকে খুব কাছ থেকে মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায়।ঘটনার পরপরই মসজিদের লোকজন ছুটে আসে। তাদের দাবি, ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে তাদের ওপর এ হামলা হয়েছে। হামলাকারীকে এখনো আটক করা সম্ভব হয়নি।

স্থানীয় বাসিন্দা খায়রুল ইসলাম (৩৩) বলেন, ‘এতো আমেরিকার মতো নয়। আমরা এর জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দায়ী করছি… তিনি এবং তার নাটকীয়তা ইসলামভীতি ছড়িয়েছে।’

তবে পুলিশ দাবি করেছে, এ ঘটনার সঙ্গে তারা এখনো ‘ঘৃণামূলক অপরাধের’ যোগসূত্র পায়নি। তা ছাড়া হত্যার উদ্দেশ্যও তাদের কাছে পরিষ্কার নয়। তবে স্থানীয়রা এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবং দাবি করে, এটি ঘৃণামূলক হামলা।

ইমাম আকুঞ্জির ভাতিজি রাহি মাজিদ বলেন, তারা চাচা অত্যন্ত নিরীহ মানুষ ছিলেন। ‘তিনি কখনো একটা মাছিকেও আঘাত করেননি।’



মন্তব্য চালু নেই