নারী নির্যাতনে শীর্ষে বাংলাদেশ

স্বামীর হাতে নির্যাতনে বাংলাদেশের নারীরা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শীর্ষে থাকায় লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতার ঘটনা বাড়ছে। যার ফলে ৪৭ শতাংশ নারী তালাকের জন্য আবেদন করছে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ আয়োজিত ‘নারী নির্যাতন প্রতিরোধে আমাদের অর্জন ও ব্যর্থতা’ শীর্ষক সেমিনারে নারী নেত্রীরা এ তথ্য তুলে ধরেন।

নারী নির্যাতনে সাফল্যের চাইতে ব্যর্থতা বেশি স্বীকার করে তারা বলেন, এ ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধান এবং দূর করতে যত্নবান না হলে বাংলাদেশও এ তালিকায় যুক্ত হবে।

ইউএন উইমেন’র জরিপ উল্লেখ করে তারা বলেন, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতার কারণে দেশের মোট আয়ের এক হাজার ৯৩৯ কোটি টাকা ক্ষতি হয় যা জিডিপির ২ দশমিক ১২ শতাংশ।

বিগত পাঁচ বছরে ৯৩ হাজার ৬৮৬টি নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। শুধু নারী নয় শিশু নির্যাতন, ধর্ষণের ঘটনাও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে।

বক্তারা বলেন, ধর্ষণের ঘটনার প্রতিকার চেয়ে যেসব মামলা করা হয় দীর্ঘসূত্রীতার কারণে বেশির ভাগ মামলাই শেষ পর্যন্ত টিকে না। পুলিশ টাকা ছাড়া কাজ করতে চায় না। ফলে নারীরা আজ হুমকির মুখে।

প্রতিরোধের এ দুরবস্থার মতো নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রতিকারেও আমরা যারপরনাই ব্যর্থ। নারীকে অর্থনৈতিক কাজে যুক্ত করার কথা বললেও আমরা পরিবেশ নিশ্চিত করছি না।

বক্তারা আইনের যথাযথ প্রয়োগ, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, মনিটরিং বৃদ্ধি, প্রতিরোধ এবং নারী ও শিশু নির্যাতনের ক্ষেত্রে ঝুঁকিসঙ্কুল বাস্তবতা থেকে উত্তরণের উপায় খুঁজে বের করার আহ্বান জানান।

সেমিনারে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীরের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি, নারী ও শিশু বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান বেগম রেবেকা মোমিন এমপি, ইউএন উইমেন কর্মসূচি সমন্বয়কারি মাহতাবুল হামিক প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই