নারী থেকে পুরুষ হওয়া আদরী বেগম এখন জোবায়ের আহমেদ

বগুড়ার শাজাহানপুরে নারী থেকে পুরুষে রূপান্তরিত হওয়া গৃহবধূ আদরী বেগম এখন মো. জোবায়ের আহমেদ আকাশ (১৯)। বৃহস্পতিবার দুপুরে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক ঘটনার ৭দিনের মাথায় আকিকার মাধ্যমে এই নাম ধারণ করা হয়। নারী থেকে পুরুষে রূপান্তরিত হওয়ার ঘটনায় তাকে এক নজর দেখতে প্রতিদিনই হাজার হাজার নারী-পুরুষ তার বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন।

উপজেলার চোপীনগর ইউনিয়নের বৃ-কুষ্টিয়া ফকির পাড়ার দিনমজুর উল্লাস ফকিরের ২ মেয়ে ও ১ ছেলের মধ্যে আদরী খাতুন প্রথম সন্তান। এক বছর আগে পার্শ্ববর্তী গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে আব্দুল করিমের সঙ্গে আদরী খাতুনের বিয়ে হয়। ৭ মাস ঘর-সংসার করার পর পারিবারিক সমস্যার কারণে ৩ মাস আগে উভয়ের মধ্যে তালাক সম্পন্ন হয়। তখন থেকেই আদরী বেগম বাবার বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন।

আদরী বেগম জানান, গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে প্রতিদিনের মত খাওয়া-দাওয়া শেষে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। পরের দিন সকালে ঘুম থেকে ওঠে তিনি শারীরিক আকৃতি পরিবর্তন দেখতে পান। এরপর প্রথমে তার দাদা-দাদী, ফুপা ও প্রতিবেশী চাচা স্থানীয় ইউপি সদস্যকে বিষয়টি জানানো হয়।

ইউপি সদস্য আবুল ফকির জানান, বিষয়টি জানার পর তিনি নিজে শারীরিক পরিবর্তনের বিষয়টি প্রত্যক্ষ করেছেন। এরপর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানানো হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাফিউল ইসলাম জানান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বারদের মাধ্যমে বিষয়টি জানার পর তিনি ভিকটিমের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছেন। মেডিকেল টেস্টের মাধ্যমে নারী থেকে পুরুষে রূপান্তরিত হওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানান তিনি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোতারব হোসেন জানান, নারী থেকে পুরুষে রূপান্তরিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হতে দু’ভাবে পরীক্ষা চালাতে হবে। প্রথমত: সশরীরে প্রত্যক্ষ করতে হবে এবং মেডিকেল টেস্ট করতে হবে। নিশ্চিত হওয়ার পর শারীরিক সুস্থতার জন্য অপারেশন করাতে হবে। অপারেশন করানো না হলে শারীরিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণতা আসবে না।

তবে তাড়াহুড়ার কিছু নেই বলে জানান তিনি।

পুরুষে রূপান্তরিত হওয়া জোবায়ের আহমেদ আকাশ জানান, এই পরিবর্তনে তিনি অসন্তুষ্ট নন। বরং শারীরিকভাবে সুস্থ হয়ে একজন পুরুষের মতই জীবন-যাপন করতে চান তিনি।



মন্তব্য চালু নেই