নারায়ণগঞ্জে প্রেমিকার বিয়েতে প্রেমিকের হামলা, বেকায়দায় বর

নারায়ণগঞ্জ : প্রেমিকার বিয়েতে হামলা চালিয়েছে প্রেমিক। হামলায় বেকায়দায় বরসহ বরযাত্রীরা। এ ঘটনায় জেলার আড়াইহাজারে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় কনের বাড়ি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ অন্তত ৪০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

এসময় গোপালদি পৌর মেয়রকে অবরুদ্ধ করে গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।  এতে আহত হয় পুলিশসহ অন্তত ২০ জন।

শুক্রবার বিকেলে উপজেলার বিশনন্দী ইউনিয়নের বিশনন্দী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। প্রায় ঘণ্টা খানেক পর পুলিশ অবরুদ্ধ মেয়রকে উদ্ধার করে। আহতদের উদ্ধার করে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও নরসিংদীর বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

হামলাকারী প্রেমিকের নাম রুহুল। সে বিশন্দী গ্রামের বাসিন্দা। অপরদিকে কনের নাম সোনিয়া। সে একই গ্রামের রিপন মিয়ার মেয়ে। বরের নাম দুলাল মিয়া। তিনি উপজেলার রামচন্দ্রদী গ্রামের বাসিন্দা এবং গোপালদী পৌরসভার মেয়র এম এ হালিম শিকদারের মামাতো ভাই।

এলাকাবাসী জানায়, দুপুর ১২টার দিকে বিয়ে বাড়িতে গিয়ে সোনিয়ার প্রেমিক রুহুল ও তার সহযোগী রনিসহ ১০-১২ জন যুবক বিয়ে বন্ধ রাখতে বলে। এর ঘণ্টা দুয়েক পরে দুপুর দুটার দিকে বরপক্ষ কনেবাড়িতে চলে আসে। বরযাত্রী হিসেবে সেখানে উপস্থিত ছিলেন মেয়র হালিম শিকদারও। বিয়ে পড়ানো শেষে বিকেল তিনটার দিকে প্রেমিক রুহুলের বাহিনী এসে হামলা চালায়। এসময় কনে ও বরপক্ষ সম্মিলিতভাবে হামলাকারীদের বিপক্ষে অবস্থান নেয়। সংঘর্ষ বেঁধে যায়।

এসময় মেয়র হালিম শিকদারকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। ভাঙচুর করা হয় তার গাড়িসহ কনেবাড়িতে থাকা বিয়ের আসবাবপত্র ও অন্য জিনিসপত্র। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তারা অন্তত ৪০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে।

হামলায় পুলিশের কনস্টেবল হুমায়ূন, স্থানীয় মনির, কাউসার, আউয়াল, হক মিয়া, জজ মিয়া, শামীমসহ আহত হয় অন্তত ২০ জন। তাদের আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও নরসিংদীর বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়। কয়েকজন পুলিশ সদস্যের আহতের খবর জানা গেলেও তাদের পরিচয় তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।

কনের বাবা রিপন মিয়া অভিযোগ করেন, সকালে রনি ও রুহুলসহ আরো কয়েকজন এসে বিয়েতে বাধা দেয়। পরে দুপুরে বরপক্ষ এলে বিয়ে পড়ানো হয়। কিন্তু এর পরেই শুরু হয় হামলা।

আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কমপক্ষে ৪০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। বিকেল ৫টার পর দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। হামলাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। সংঘর্ষে পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্যও আহত হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই