নামাজে যে কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি

নামাজ মুমিনের জন্য মিরাজস্বরূপ। নামাজের মাধ্যমে মানুষ দৈনিক পাঁচবার আল্লাহ তাআলার দরবারে উপস্থিত হন। এ নামাজে মানুষ না জানার কারণে অথবা অনেকে মনের ভুলে এমন অনেক কাজ করে থাকেন, যা থেকে বিরত থাকা জরুরি। নামাজে মুসল্লির বিরত থাকার কিছু ‍বিষয় তুলে ধরা হলো-

১. নামাজি ব্যক্তির জন্য এদিক-ওদিক তাকানো নিষেধ। তবে বিপদ বা প্রয়োজনে তাকানো যাবে।
২. নামাজ পড়ার সময় দুই চোখ বন্ধ করা ও মখু মণ্ডল ঢেকে রাখা যাবে না।
৩. দুই পায়ের পাতা খাড়া করে উরুর ওপর ভর দিয়ে বসা যাবে না। যা দেখতে অনেকটা কুকুরের বসার মতো দেখা যায়।
৪. প্রয়োজন ছাড়া নামাজে নড়াচড়া ও অনর্থক কাজ করা যাবে না।
৫. কোমরে হাত রাখা বা কোমরে ভর দেয়া যাবে না।
৫. যে জিনিস দৃষ্টিতে আসলে নামাজের বিঘ্ন ঘটে বা অন্যমনষ্ক করে দেয়; নামাজে এমন জিনিসের দিকে দৃষ্টি দেয়া যাবে না।
৬. নামাজে সিজদার সময় উভয় হাতকে বিছিয়ে দেয়া যাবে না। অর্থাৎ হাতের তালু থেকে শুরু করে কনুই পর্যন্ত বিছিয়ে সিজদা করা যাবে না।
৭. পেশাব বা পায়খানার বেগ রেখে কিংবা হাওয়া আটকিয়ে রেখে নামাজ আদায় করা যাবে না।
বিশেষ করে নামাজের সময় যদি কারো পেশাব, পায়খানা বা হাওয়া বের হওয়ার বেগ হয়; তাদের জন্য আবশ্যক কর্তব্য হলো অজু নষ্ট করে পেশাব, পায়খানা বা হাওয়া ত্যাগ করে তারপর নতুন করে অজু করে নামাজ আদায় করা। যদি পানি পাওয়া না যায় তবে তায়াম্মুম করে নামাজ আদায় করা। এটাই নামাজ আদায়ের উত্তম পন্থা।
৮. নামাজের পূর্ব মূহুর্তে খানা হাজির হলে,খাওয়ার ইচ্ছা থাকলে এবং নামাজের পূর্বে খাবার খেয়ে নেয়ার সুযোগ থাকলে তা খেয়ে নামাজ আদায় করা।
৯. লুঙ্গি, পায়জামা অথবা প্যান্ট ইত্যাদি টাখনুর নিচে ঝুলিয়ে রেখে নামাজ আদায় করা যাবে না।
১০. মখুমণ্ডল বা নাক ঢেকে রাখা যাবে না। অনুরূপভাবে চুল বা কাপড় জমা করে রাখা যাবে না।
১১. ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজে হাই উঠানো যাবে না।
১২. নামাজের সময় মসজিদে থুথু ফেলা অন্যায় কাজ। তাই এ রকম করা যাবে না।
১৩. নামাজরত অবস্থায় কিবলার দিকে থুথু ফেলা যাবে না। নামাজের বাইরেও ইহা নাজায়েজ।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নামাজ আদায়ের সময় এ বিষয়গুলোর প্রতি যথাযথভাবে খেয়াল রাখার তাওফিক দান করুন। আমিন।



মন্তব্য চালু নেই