নাটোরে ট্রেন থামিয়ে সিগারেট কিনলেন চালক

রেলের ইঞ্জিনের কোনো ক্রটি ছিলো না, এমনকি কেউ চেইনও টানেননি। তবুও হঠাৎ করেই রেলগেটে থেমে গেল ট্রেনটি। শুধুমাত্র চালকের সিগারেট কিনতে হবে বলে তেলবাহী ওই ট্রেনটি থামালেন চালক নিজেই। সোমবার সকালে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার মালঞ্চি রেলগেটে এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে এ ঘটনায় এলাকাবাসী মুখে মুখে রটে গেল সিগারেটের নেশায় ট্রেনও থামে এখানে।

মালঞ্চি রেলগেটের গেটম্যান মকব্বর হোসেন মকু বলেন, গেটম্যান মেহেদী অসুস্থ থাকায় তার স্থলে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। সকাল সাড়ে দশটার দিকে নাটোর থেকে ছেড়ে আসা তেলবাহী একটি ট্রেন দেখতে পেয়ে গেটটি বন্ধ করে দেন। কিন্তু ট্রেনটি গেট পার না হয়ে গেটের সামনে এসে হঠাৎ করেই থেমে যায়। পরে ট্রেনের চালক নেমে রেলগেটের পাশের একটি সিগারেটের দোকান থেকে সিগারেট ক্রয় করেন। পরে তিনি আবার ট্রেনে উঠে চলে যান। প্রায় তিন চার মিনিট ট্রেনটি এভাবে থেমে থাকে গেটের পাশে। ট্রেনটি থেমে থাকার ফলে গেটের দুই পাশে গাড়ির লাইন লেগে যায়।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রাকিব হাসান জানান, পথের মাঝে ট্রেন থামিয়ে সিগারেট কেনার ঘটনা তিনি এই প্রথম দেখলেন। এমন দায়িত্ব জ্ঞানহীন কাজ কিভাবে করতে পারলেন চালক।

এমন ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার বলেও দাবি করেন তিনি।

সিগারেট বিক্রেতা বকুল হোসেন জানান, একজন লোক ট্রেন থেকে নেমে এসে তার দোকান থেকে বেনসন সিগারেট কিনেছেন। কিন্তু তিনি ট্রেনের চালক কি না তা জানেন না।

নাটোর রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার অশোক চক্রবর্তী জানান, তেলবাহী ৯৮২নং ট্রেনটি সকাল ১০টার দিকে নাটোর থেকে ছেড়ে যায়। পথের মাঝে এভাবে ট্রেন থামানোর কোনো নিয়ম নেই। কি কারণে তিনি ট্রেনটি থামিয়েছেন সেটাও তার জানা নেই। জরুরি কোনো কারণে তিনি যেখানে ট্রেন থামাতে পারে। তবে ট্রেন থেকে নেমে যিনি সিগারেট কিনেছেন তিনি চালক কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে।

এ ব্যাপারে পাকশীর বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার অসীম কুমার তালুকদার বলেন, কেন তিনি ট্রেনটি থামালেন তা জানা যায়নি। যদি সিগারেট কেনার জন্য ট্রেনটি চালক থামিয়ে থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



মন্তব্য চালু নেই