নাগরিকদেরও ‘সেন্স অব সিকিউরিটি’ থাকতে হবে

ব্যক্তিগত নিরাপত্তার বিষয়ে নাগরিকদেরও নিজ নিজ দায়িত্বের কথা আবারো স্মরণ করিয়ে দিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) একেএম শহিদুল হক। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিটি ব্যক্তির সেন্স অব সিকিউরিটি থাকতে হবে। তার নিজের নিরাপত্তা, প্রতিবেশীর নিরাপত্তা, এলাকার নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতন হতে হবে।’

গত সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কলাবাগানে বাসার ভেতরে খুন হয়েছেন সমকামি অধিকার কর্মী জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু নাট্যকর্মী মাহবুব রাব্বী তনয়। মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে নিরাপত্তা বিষয়ে নাগরিকদের এই সচেতনার কথা বলেন আইজিপি।

আইজিপি বলেন, ‘পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘরে ঘরে পাহারা দিতে পারবে না। নাগরিকদের নিজস্ব নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে এলাকাবাসীর সঙ্গে পুলিশের সুসম্পর্ক থাকবে, সহযোগিতা থাকবে। কিন্তু তাদের এগিয়ে আসতে হবে।’ পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী জুলহাজ ও তনয়কে খুন করা হয়েছে বলে মনে করছেন তিনি।

বছর চারেক আগে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যেরই পুনরাবৃত্তির করলে আইজিপি। ২০১২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি সিলেট দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘দুই সাংবাদিককে নিজের ঘরে মারা হয়েছে। সরকারের পক্ষে কারও বেডরুম পাহারা দেওয়া সম্ভব নয়। তবে বিষয়টি তদন্ত হচ্ছে।’ এছাড়া ধর্ম অবমাননা ও ঘৃণা ছড়িয়ে কেউ নিজের নিরাপত্ত হুমকির মুখে ফেললে তার দায় সরকার নেবে না- সাম্প্রতিক সময়ে ব্লগার হত্যার পরিপ্রেক্ষিতে এমন কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

জুলহাজ-তনয় খুনের বিষয়ে আইজিপি আরো বলেন, ‘অত্যন্ত সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ধারণা করছি, রেকি করে খুনিরা খুনের পরিকল্পনা করেছে। জায়গাটা যথেষ্ট সিকিউরড। খুনিরা পালিয়ে যাওয়ার সময় আশপাশ থেকে প্রতিরোধ করা সম্ভব হলে তাদের ধরা যেত।’

হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত হলে এখানে গোয়েন্দা ব্যর্থতা আছে কি না জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, ‘গোয়েন্দারা ‘মাইক্রো’ লেবেলের কাজ ডিল করে না। একটা ব্যক্তিকে কখন কীভাবে হত্যা করা হবে সেটা ধরা গোয়েন্দাদের কাজ নয়। একটা সামগ্রিক বিষয়ে তারা তথ্য সংগ্রহ করে; মনে করেন, জঙ্গিদের তৎপরতার বিষয়ে তারা তথ্য সংগ্রহ করে। জঙ্গিরা কোথায় গিয়ে কী করবে সেটা সূত্র না পেলে জানার প্রযুক্তি তো আমাদের হাতে নাই। তাই এটাকে ইন্টেলিজেন্টের ব্যর্থতা বলব না। তাদের সফলতা আছে বলেই আমরা অনেক জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছি।’

খুনিদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে বলেও আশা করেন আইজিপি।

এছাড়া গত শনিবার রাজশাহীতে অধ্যাপক এএফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যাকাণ্ডের তদন্তে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে বলেও জানান তিনি।



মন্তব্য চালু নেই