নাক ডাকা মারাত্মক রোগের লক্ষণ!

গভীর ঘুমের মধ্যে অধিকাংশ মোটা লোকের নাক ডাকতে শোনা যায়। নিজে টের না পেলেও পাশে থাকা লোকের ঘুম হারাম হয়ে যায় নাক ডাকার শব্দে। গবেষকদের মতে নাক ডাকা এক ধরনের রোগ। নাক ডাকা থেকে সৃষ্ট কম্পন ধমনী বা শিরার মধ্যে রক্ত চলাচল বন্ধ করে দিতে পারে! এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকে। এই রোগীদের স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকও হতে পারে।

তাইওয়ানের একদল গবেষক জানিয়েছেন, যারা ঘুমের সময় জোরে নাক ডাকেন, তাদের ছোখে ছানি পড়ার প্রবণতা বেশি। তাদের কণ্ঠ পেশী ভেঙ্গে যায়, ফলে কণ্ঠনালিতে পুরোপুরি বাতাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং পরে ঘুম ভেঙ্গে যায়। নাক ডাকা রোগীদের স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।

তাইওয়ানের এই গবেষকরা প্রায় এক হাজার নাক ডেকে ঘুমানো লোক এবং নাক ডাকে না এমন ছয় হাজার লোকের তথ্য সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করেন। গবেষণায় দেখা গেছে, নাক ডাকার ভুক্তভোগীরা চোখে ছানি পড়া রোগে বেশি ভোগেন। এই রোগে চোখের মনির উপর চাপ বৃদ্ধি পায় এবং ধীরে ধীরে ঐ ব্যক্তি অন্ধ হয়ে যেতে পারেন।

এক সমীক্ষায় জানা গেছে, নাক ডাকা স্ট্রোক ঘটায় এবং হৃদপিণ্ডের সমস্যা সৃষ্টি করে। ঘন ঘন নাক ডাকা কেরোটিড ধমনীকে সংকুচিত করে। মূলত গলার ধমনী, যেটা অক্সিজেনসমৃদ্ধ রক্ত মস্তিষ্কে সরবরাহ করে তা পুরু হয়ে সংকুচিত হয়ে যায়। গবেষকরা মনে করে, নাকডাকা হৃৎপিণ্ডের চারদিকের ধমনী শক্ত করে দিতে পারে, যেটা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। এটা ঘুমে নাক ডাকার সময় ঘটতে পারে বলে মনে করছেন গবেষকরা।



মন্তব্য চালু নেই