নর্দমায় নবজাতকের পাঁচ দিন

ভোরবেলা দীর্ঘ রাস্তা দিয়ে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিল একদল সাইকেল আরোহী। অনেকটা পথ যাওয়ার পর আরোহীদের কানে কান্নার শব্দ আসতে তারা সবাই খানিকের জন্য থমকে দাড়ায়। কিন্তু অনেকটা সময় আশেপাশে খেয়াল করেও কান্নার উৎস খুঁজে পেল না। তারা ভাবতেও পারেনি যে নর্দমা থেকেও মানুষের কান্নার শব্দ আসতে পারে। শেষমেষ সকলে মিলে রাস্তার পাশের নর্দমার ঢাকনা খুলতেই নজরে আসে একটি সদ্যজাত নবজাতক শিশু। পাঠক হয়তো ভাবছেন, এই ঘটনা বিশ্বের কোনো দারিদ্রপীড়িত অঞ্চলের। কিন্তু, ঘটনাটি আসলে উন্নত দেশ অস্ট্রেলিয়ার।

নবজাতক শিশুটি এখন অস্ট্রেলিয়ার ব্ল্যাকটাউন পুলিশের তত্ত্বাবধানে আছে। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, শিশুটি প্রায় আড়াই ফুট লম্বা এবং ড্রেনের তলায় লোহার সঙ্গে আটকে ছিল বাচ্চাটি। আর এই ঘটনায় নিউ সাউথ ওয়েলসের ৩০ বছর বয়সী এক নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। তাকে নির্দিষ্ট দিনে আদালতে হাজিরা দিতে বলা হলেও তিনি এখন পর্যন্ত হাজিরা দেননি। যেকোনো মুহূর্তে তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলেও পুলিশ কর্তৃপক্ষ মারফত জানা যায়।

তদন্তকারী দল জানায়, বাচ্চাটি ভূমিষ্ঠ হওয়ার একদিনের মাথায় তাকে নর্দমায় ফেলে দেয়া হয়। এবং সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো, এই বিষাক্ত নর্দমার মধ্যেই বাচ্চাটি টানা পাঁচদিন বেঁচে ছিল।

যে সাইকেল আরোহীরা নর্দমা থেকে বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন হার্লে ওট্টে এবং তার বাবা। ঘটনা পরবর্তীতে হার্লে তার বাবাকে নিয়ে হাসপাতালে বাচ্চাটিকে দেখতে গিয়েছিলেন। এসময় একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে হার্লে বলেন, ‘বাচ্চাটির এখন কোনো পরিবার নেই। সুতরাং আমরা তাকে আমাদের সাধ্য মতো দিতে চাই। তাকে আমরা এও জানাতে চাই যে, সে এখন কিছু একটা পেয়েছে।’



মন্তব্য চালু নেই