নব্বইয়ের ছাত্রনেতাদের কনভেনশন শুরু

নব্বই দশকের ডাকসু নেতা ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় কনভেনশন চলছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ১০ মিনিটে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারস ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ কনভেনশন শুরু হয়েছে।

ডাকসুর সাবেক ভিপি ও বিএনপির যুগ্মমহাসচিব আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে কনভেনশনে উপস্থিত আছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, সহ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, জাগপার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, সাবেক ছাত্রনেতা কামরুজ্জামান রতন, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, আজিজুল বারী হেলাল, সাইফুদ্দিন মনি, আকসাদুর রহমান আসাদ প্রমুখ।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কনভেনশনে প্রধান অতিথি হিসেবে দুপুর ২টায় যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন তার প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির ভবিষ্যত সরকারবিরোধী আন্দোলনের গতিপথ ও রোডম্যাপ তৈরিতে বিশেষ পরামর্শ দেবেন ৯০ দশকের ছাত্রনেতারা। মূলত তাদের পরামর্শকে আমলে নিয়ে কর্মসূচি নির্ধারণ করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন। সেই ধারাবাহিকতায় তাদের ঐক্যবদ্ধ করতেই এ কনভেনশনের আয়োজন করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, সব দলের ছাত্রসংগঠনকে একই প্লাটফর্মে আনার ওই প্রক্রিয়ার নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের আহ্বায়ক ও বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান এবং যুগ্ম আহ্বায়ক ও তৎকালীণ ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব। সঙ্গে থাকছেন তৎকালীন ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, ডাকসুর তৎকালীন জিএস খায়রুল কবির খোকন, এজিএস নাজিমউদ্দিন আলম, ছাত্রদলের তখনকার নেতা আসাদুজ্জামান রিপন, ফজলুল হক মিলন, শিরিন সুলতানা, শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, গণতান্ত্রিক ছাত্রলীগের নেতা সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, জাগপা ছাত্রলীগের নেতা খন্দকার লুৎফর রহমান, আসাদুর রহমান খান, হাবিব উন নবী খান সোহেল প্রমুখ।

কনভেনশনের সমন্বয়ক ও বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নেই। মানবতা ও মানবাধিকার এখন দলিত-মলিত। তৎকালীন সামরিক স্বৈরাচারের চাইতেও নিকৃষ্ট ফ্যাসিবাদী এক শাসন অক্টোপাসের মতোই গোটা জাতিকে গ্রাস করেছে। এটা আর চলতে দেওয়া যায় না, কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না।’

তিনি বলেন, ‘এ কারণে আমরা আর বসে থাকতে পারি না। সিদ্ধান্ত নিয়েছি-তৎকালীন ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের উদ্যোগে তৎকালীন ও বর্তমান সময়ের ছাত্রনেতাদের সমন্বয়ে ঢাকায় একটি ছাত্র কনভেনশন করব। ঠিক যেমনটি আমরা করেছিলাম ১৯৯০ সালের ১ অক্টোবর। যার ফলে সামরিক স্বৈরাচার এরশাদের পতনের পথ উন্মুক্ত হয়েছিল।’



মন্তব্য চালু নেই