নবীকে (সা.) সম্মানকারী বিনা হিসাবে জান্নাত পাবেন

আল্লাহতা’লা হযরত মুহাম্মদকে (সা.) আমাদের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ রহমত হিসেবে পাঠিয়েছিলেন। তাই তিনি যেদিন দুনিয়াতে তাশরিফ এনেছেন সেই দিনকে স্মরণ করে আমাদের খুশি হওয়া এবং সাধ্যমতো আমল করা উচিত। আর এই কাজটিকেই বলা হয় ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী। অর্থাৎ নবীজীর আগমনে খুশি উদযাপন করা। খুশি বলতে গান-বাজনাকে বলা হয়নি, এই খুশি মানে নবীর শানে দরুদ শরিফ পাঠ করা, জিকির করা, নবীজির জীবনী নিয়ে আলোচনা করা ইত্যাদি।

সর্বশ্রেষ্ট সাহাবী ও ইসলামের প্রথম খলিফা হযরত আবু বকর (রা:) বলেন :

مَنْ اَنْفَقَ دِرْهَمًا عَلَى قِرا ةَ مَوْ لِدِ النَّبىُ مَلَى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَنَرَفِيْقِى فىِ الجَنّةِ

অর্থাৎ ‘যে ব্যক্তি মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে এক দিরহাম খরচ করবে সে জান্নাতে আমার সঙ্গী হবে।’ (আন নেয়মাতুল কুবরা আলাল আলাম, পৃষ্ঠা নং-৭)

দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর ফারুক (রা.) বলেন :

مَنْ عَظَّمَ مَوْلِدِ النَّبِىُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَدْ اَخْيَا الاسْالاَمُ

অর্থাৎ ‘যে ব্যক্তি মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সম্মান করল, সে অবশ্যই ইসলামকে জীবিত করল।’ (আন নেয়মাতুল কুবরা আলাল আলাম, পৃষ্ঠা নং-৭)

তৃতীয় খলিফা হযরত উসমান বিন আফফান (রা.) বলেন :

مَنْ اَنْفَقَ دِرْهَمًا عَلَى قرأة مَوْلِدِ النَّبِىُ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمْ فَكَا نَّمَا ثَهِيد غَزُوَةِ بَدَر رَوحُنَيْنُ

অর্থাৎ ‘যে ব্যক্তি মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পাঠ করার জন্য এক দিরহাম খরচ করল- সে যেন নবীজীর সাথে বদর ও হুনাইন জিহাদে শরীক হলো।’ আন নেয়মাতুল কুবরা আলাল আলাম, পৃষ্ঠা নং-৮)

চতুর্থ খলিফা হযরত আলি মুরতাদ্বার (রা.) বলেন :

مَنْ عَظَّمَ مَوْ لِدِ النَّبِى صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمَ وَكَانَ سَبَبَا لِقرا ته لا يَحْرُمُ مِنَ الدُّنْيَا اِلا َّبِالاِ يْمَانِ وَيَدْخُلُ الجَنَّهَ بِغَيْرِ حِسَاب

অর্থাৎ ‘যে ব্যক্তি মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সম্মান করবে এবং উদ্যোক্তা হবে সে ঈমানের সাথে মৃত্যুবরণ করবে এবং বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (আন নেয়মাতুল কুবরা আলাল আলাম, পৃষ্ঠা নং-৮)

সুতরাং ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী পালন করা হচ্ছে জান্নাত পাওয়ার জন্য তার আমল করা। তাই এ দিনে মাহফিল করা ঈমানদারদের জন্য একান্ত প্রয়োজন। আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন যেন মোনাফিকদের থেকে আমাদের ঈমানকে হেফাজত করেন এবং আমাদের সকলকে তাদের দলভুক্ত করেন যারা ঈদ-ই-মিলাদুন্নবীকে মর্যাদা দান করেন এবং এর মর্যাদা উপলব্ধি করেন। তিনি আমাদেরকে তার হাবিব, নবী-রাসুলগণের অনুসারী বানিয়ে দিন। আমিন।



মন্তব্য চালু নেই