নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর বোতাম টিপবেন বান কি মুন

খ্রিস্টীয় নতুন বছর ২০১৭-কে প্রাণের আমেজ ও হৃদয়ের উষ্ণতায় বরণে এবারও ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে টাইমস স্কয়ারে। ১৯০৭ সালে শুরু টাইমস স্কয়ারে বর্ষবরণে জনমকালো অনুষ্ঠানে এবার অতিথি হবেন জাতিসংঘের বিদায়ী মহাসচিব বান কি মুন। নিউইয়র্ক সিটির প্রাণকেন্দ্র ১ নম্বর টাইমস স্কয়ারে স্থাপিত বর্ণাঢ্য মঞ্চের ওপর থাকবে নতুন বছরের চোখ ধাধানো ওয়াটারফোর্ড ক্রিস্টাল (Waterford crystal) বল। ঠিক এক মিনিট আগে বোতাম টিপবেন মহাসচিব। ৬০ সেকেন্ড গণনার মধ্য দিয়ে সেই বলের পতন ঘটবে ২০১৭ শুরুর লগ্নে।

টাইমস স্কয়ারে বর্ষবরণের জন্যে গঠিত কমিটির কর্মকর্তারা বান কি মুনকে এবারের অতিথি হিসেবে ঘোষণা দেন। নতুন বছরের প্রথম দিনেই মহাসচিবের দায়িত্ব নেবেন এন্টনিয়ো গুতেরেস অর্থাৎ টানা ১০ বছর বান কি-মুনের জাতিসংঘে নেতৃত্ব প্রদানের শেষ কাজটি হবে এই বলের পতন ঘটানো তথা নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর মধ্য দিয়ে। টাইমস স্কয়ারের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের প্রধান টিম টম্পকিন্স বান কি মুনের প্রশংসা করে বলেন, ‘বিশ্ব মানবতা সমুন্নত রাখতে তিনি সাধ্যমত চেষ্টা করেছেন। সব জনগোষ্ঠীকে ঐক্যবদ্ধ এবং উদ্বাস্তু পুনর্বাসনে তার নেতৃত্ব অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে মানবতার ইতিহাসে। বিশেষ করে, অকারণ যুদ্ধের বিরুদ্ধে তার অবস্থানের কথা সভ্য সমাজ কখনোই ভুলবে না। ’

এর আগে বর্ষবরণের দৃষ্টিনন্দন বলের পতন ঘটানো বিশিষ্টজনদের মধ্যে ছিলেন বিশ্বখ্যাত মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী, ক্রিস্টফার রিভ, বিল ক্লনিটন, হিলারি ক্লিনটন, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সনিয়া সটোমায়ার।

বিশ্বশান্তি আর ধর্মীয় সম্প্রীতির বন্ধনকে সুসংহত করার স্লোগানে নতুন বছরকে বরণ উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিসহ বেশ ক’টি স্থানে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান হবে। তবে সবচেয়ে বড় আয়োজন হয়ে থাকে টাইমস স্কয়ারে। এবারও ১০ লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতি ঘটবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টা থেকেই বর্ষবরণের জমকালো অনুষ্ঠান শুরু হবে। এ উপলক্ষে টাইমস স্কয়ারসহ নিউইয়র্ক সিটিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর থাকবে। নির্দিষ্ট পথ দিয়ে তল্লাশীর পর সেখানে ঢুকতে হবে।
এদিকে, ইংরেজী নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ৪ জানুয়ারি বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনে এক অনুষ্ঠান হবে। এতে নিউইয়র্কের মিডিয়া কর্মীদের সাথে নববর্ষের আমেজে নানা বিষয়ে মতবিনিময় করবেন স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।



মন্তব্য চালু নেই