নতুন পাসপোর্টের আবেদন করেছেন খালেদা

বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় লাল পাসপোর্ট জমা দিয়ে নিজের জন্য নতুন মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের আবেদন করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এর আগে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে লাল পাসপোর্ট জমা দেন তিনি।

দলীয় সূত্র জানায়, ১৯৯১ সাল থেকে খালেদা জিয়া লাল পাসপোর্ট ব্যবহার করছেন। ওই বছর সরকার গঠনের পর তিনি লাল পাসপোর্টধারী হন। ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকার পর ওই বছর থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতার দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০০১ সালের অক্টোবরে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার গঠন করলে ফের প্রধানমন্ত্রী হন খালেদা জিয়া।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় গেলেও লাল পাসপোর্ট বহাল ছিল খালেদা জিয়ার। কিন্তু ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় খালেদা জিয়া জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের নেতা কিংবা কোনো পদে নেই। সেজন্য তিনি ওই পাসপোর্টের কার্যকারিতা হারান।

ঢাকার বিভাগীয় পাসপোর্ট পরিচালক মুন্সি মুহিত ইকবালের তত্ত্বাবধানে বেগম জিয়া নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেন। এ সময় তিনি আঙুলের ছাপ দেন এবং ছবি তোলেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে তিনি গুলশানের বাসভবন থেকে রওনা দিয়ে বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে পাসপোর্ট অফিসে পৌঁছান।

খালেদা জিয়ার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রী হিসেবে লাল পাসপোর্ট ব্যবহার করেছেন। যেহেতু এখন কোনো রাষ্ট্রীয় পদে নেই, তাই লাল পাসপোর্ট জমা দিতে তিনি পাসপোর্ট অফিসে এসেছিলেন।’

লাল পাসপোর্ট ব্যবহারের জন্য সরকারের কাছে কোনো প্রকার আবেদন করা হবে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার বেশ কিছু সুবিধা পাওয়ার কথা। কিন্তু সেগুলো থেকে সরকার তাকে বঞ্চিত করেছে। লাল পাসপোর্ট তো তেমন কোনো ব্যাপার না। তাই লাল পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা হবে না।’

এদিকে বিএনপির চেয়ারপারসনকে স্বাগত জানাতে আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিস-সংলগ্ন এলাকায় বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী জড়ো হন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের ভূঁইয়া, প্রচার সম্পাদক জয়নাল আবদিন ফারুক, অর্থবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম, যুববিষয়ক সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই