নতুন ইসি গঠনে খালেদার সাত প্রস্তাব

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রায় ৩ মাস আগেই নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে সাতটি প্রস্তাব দিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। শুক্রবার রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব প্রস্তাব দেন। একইসঙ্গে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করেন।

নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে খালেদা জিয়ার সাত প্রস্তাব হলো-

এক. সকল রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।

দুই. সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, স্বাধীনতার পর সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছে এমন দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির বৈঠক হতে হবে। বৈঠকে ২০ দলীয় জোট ও মহাজোটের একজন করে মূল প্রতিনিধি ও সহায়তা দিতে আরো দুইজন প্রতিনিধি উপস্থিত থাকতে পারবে।

তিন. বাছাই কমিটি করতে হবে। এই কমিটিতে একজন নারী সদস্য রাখতে হবে। একইসঙ্গে বাছাই কমিটির গঠন, কাঠামো, সদস্য কারা হবেন, এ নিয়েও প্রস্তাবে মত দেওয়া হয়েছে।

চার. নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, স্বাধীনতার পর সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছে এমন রাজনৈতিক দলগুলো রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকে বাছাই কমিটির সদস্যদের প্রতি জনের বিপরীতে দুইজনের নাম ও পরিচয় সুষ্পষ্টভাবে লিখিত প্রস্তাব দিতে হবে।

পাঁচ. প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনারদের যোগ্যতা সম্পর্কে বলেন খালেদা জিয়া।

ছয় এবং সাতে. খালেদা জিয়া বাছাই কমিটির গঠন প্রক্রিয়া, ঘোষণার বিষয়ে বিস্তারিত ও সাংবিধানিক পদ্ধতি মেনে অভিমত পেশ করেন।

এসব প্রস্তাবের বাইরেও খালেদা জিয়া ইসিকে অধিকতর শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আরপিও সংশোধনের দাবি জানান এবং পরিষ্কারভাবে পাঁচটি ক্ষেত্রে সংশোধনীর কথা বলেন। এছাড়া নির্বাচন কমিশনকে অধিকতর শক্তিশালী করতে বিএনপি প্রধান আরো ১৩টি প্রস্তাব দিয়েছেন।



মন্তব্য চালু নেই