‘নজরুলের লেখায় সমাজ বদলের মন্ত্রণা সুস্পষ্ট’

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ‘বিস্ময়কর বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী’ অভিহিত করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘তাঁর (নজরুল ইসলাম) ক্ষুরধার লেখনির মধ্যে অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে সমাজ বদলের মন্ত্রণা সুষ্পষ্ট।’

বিএনপি নেত্রী বলেন, ‘শত জুলুম, অন্যায়-অত্যাচার ও অবিচারের বিরুদ্ধে ক্ষুরধার লেখনি দিয়ে তিনি বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। নিজেও অত্যাচার সয়েছেন ঔপনিবেশিক শাসক গোষ্ঠীর। পারিবারিক সীমাহীন দুঃখ-কষ্টের মধ্যে থেকেও নির্বাক হওয়া পর্যন্ত সাহিত্য-চর্চায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন এই কবি।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রোববার গণমাধ্যমে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন বিএনপি নেত্রী। দলের মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপরেন সাক্ষরে বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।

খালেদা জিয়া নজরুল ইসলামের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও গভীর শ্রদ্ধা জানান।

জাতীয় কবিকে বাংলা সাহিত্যের এক অবিসংবাদিত প্রাণপুরুষ উল্লেখ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘তিনিই উপমহাদেশের স্বাধীনতার প্রথম বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর। তাঁর কবিতা ও গান আমাদের মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল। তিনি দেশের স্বাধীনতা ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য উপনিবেশিক শাসক গোষ্ঠীর অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলমকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে কারাগারে নির্যাতন সহ্য করতেও দ্বিধা করেননি।’

খালেদা জিয়া বলেন, ‘তাঁর কবিতা ও গানে মানবতা ও সাম্যের বাণী উচ্চারিত হয়েছে। তিনি ছিলেন একাধারে শ্রমিক, সৈনিক, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী নির্ভীক কণ্ঠস্বর এবং একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক যোদ্ধা। তাঁর সৃষ্টিকর্ম আমাদেরকে চিরদিন স্বদেশপ্রেমে অনুপ্রাণিত করবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।’

বিবৃতিতে জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সকল কর্মসূচির সর্বাত্মক সাফল্যও কামনা করেন খালেদা জিয়া।



মন্তব্য চালু নেই