নওশাবার মেয়ে সাফা কবির!

গভীর মনোযোগ দিয়ে ভায়োলিন বাজাচ্ছেন সাফা কবির। সুুরের মূর্ছনায় তিনি নিজের মাকে আবিষ্কার করেন। ধীরে ধীরে তিনি জানতে পারেন তার মা সম্পর্কে অজানা অনেক কিছু। এমনটাই দেখা যাবে এবার ঈদে ‘ভায়োলিন’ শিরোনামের নাটকে।

সৈয়দ ইকবালের রচনা এবং তপু খানের পরিচালনায় এতে সাফা কবিরের মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন নওশাবা। এছাড়াও নাটকটিতে আরো অভিনয় করেছেন গাজী রাকায়েত, শাকিল আহমেদ, আজাদসহ অনেকে।

সম্প্রতি গাজীপুর, মাওনা, মুন্সিগঞ্জ, সাভার ও ঢাকাসহ মনোরম সব লোকেশনে নাটকটির শুটিং সম্পন্ন হয়। ঈদের দিন রাত ৭.৩৫ মিনিটে দেশটিভিতে প্রচার হবে।

নাটকের গল্পে দেখা যাবে- বাবা রিফাত সাহেব (শাকিল আহমেদ) ও মেয়ে আইরিনের সংসার (সাফা কবির)। ঘটনাক্রমে একদিন আইরিন পাশের একটি বাড়িতে ভায়োলিন বাজানো এক বৃদ্ধকে দেখতে পান। সুরের প্রতি ভালোবাসার কারণে আইরিন ছুঁটে যায় ওই বৃদ্ধ লোকটির কাছে এবং ভায়োলিন বাজানো শেখার বায়না ধরে। একদিনের আলাপচারিতায় মেয়েটি তার মরে যাওয়া মাকে (নওশাবা) ভায়োলিনের সুরে সুরে আবিস্কার করে। যে কিনা ওই বৃদ্ধ লোকটিরই মেয়ে ছিলো। কিন্তু তার বাবা তার কাছ থেকে এই সত্যটুকু লুকিয়ে রাখে অজানা কোনো কারণে। বাড়ি ফিরে এসে মেয়েটি তার বাবা, নানা এবং মায়ের ফেলে আসা একটি অধ্যায় সম্পর্কে জানতে পারে। যেটি ছিলো ভায়োলিনের সুরে গাঁথা এক ভালোবাসার গল্প।

এ নাটকে অভিনয় করা নিয়ে সাফা কবির বলেন, ‘প্রথমেই বলতে হয় নাটকের গল্পটির কথা। ঈদ এলে প্রচুর নাটকে কাজ করি। কিন্তু এই নাটকের গল্পটি আমাকে মুগ্ধ করেছে। নাটকটিতে অভিনয় করে অন্যরকম একং ঘোরে চলে গেছি। বাবা-মা এবং পরিবারের প্রতিটি সম্পর্কটাকে একটু অন্যভাবেই জেনেছি এই নাটকটিতে অভিনয় করে। আশা করি দর্শকদেরও ভালো লাগবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমার মায়ের চরিত্রে এখানে নওশাবা আপু অভিনয় করেছেন। এটা মজার একটি অভিজ্ঞতা আমার জন্য। পাশাপাশি এখানে গাজী রাকায়েত আংকেলের মতো গুণী মানুষের সঙ্গে কাজের সুযোগ পেয়েছি। খুব এনজয় করে কাজ করেছি।’

গাজী রাকায়েত বলেন, ‘অনেক বছর পর তৃপ্ত হওয়ার মতো একটি গল্পে কাজ করলাম। সবচেয়ে মজা লেগেছে গল্পের বাঁকগুলো। ‘আমি-তুমি’ বলা ভালোবাসার বাইরের গল্প এটি। আর বাবা আর মেয়ের অদ্ভুত সম্পর্কের গল্প ফুটে উঠেছে ‘ভায়োলিন’ নাটকটিতে। দর্শক ঈদে সত্যি অন্যরকম আনন্দ পাবেন নাটকটি দেখে।’

নাটকটি নিয়ে নির্মাতা তপু মাহমুদ বলেন, ‘ভায়োলিন নাটকটি সমসাময়িক প্রেম-ভালোবাসার বাইরের গল্প। পুরো গল্পটা প্রেমের, সেই প্রেম হচ্ছে সম্পর্কের এবং বাবা ও মেয়ের অন্যরকম ভালোবাসার সম্পর্কের। বাকিটা দর্শক নাটকটি দেখলেই বলতে পারবেন।’



মন্তব্য চালু নেই