নওগাঁর নজিপুর পৌর নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু

নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলা সদর নজিপুর পৌরসভা ১৯৯৯ সালে স্থাপিত হয়। তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকা কালীন সময়ে বানিজ্যমন্ত্রি ও আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আব্দুল জলিল এমপি উক্ত পৌরসভার উদ্বোধন করেন।

দেশের ২৩৪ পৌরসভায় আগামী ৩০শে ডিসেম্বর/২০১৫ ভোটের তারিখ রেখে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই প্রচারণায় পুরো দমে নেমে পড়েছেন নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলা সদর নজিপুর পৌরসভার সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। ইতোমধ্যে আগাম প্রচারণাও বেশ জমে উঠেছে। চায়ের টেবিলে আলোচনার প্রধান বিষয় কাকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে। পৌরবাসীর দোয়া চেয়ে সড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে টানানো হয়েছে বিভিন্ন আকার ও হরেক রঙের ডিজিটাল বিলবোর্ড, শোভা পাচ্ছে রং-বেরঙের ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার ও দেয়াল লিখন। এর আগেও সম্ভাব্য প্রার্থীরা ঈদ ও দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানিয়ে সড়কের মোড়ে বিলবোর্ড স্থাপন করে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা দলের মনোনয়নের চেষ্টার পাশাপাশি শুরু করে দিয়েছেন আগাম প্রচারণা। জয়ের আশায় এখন থেকেই আওয়ামীলীগের একাধিক ও বিএনপির সম্ভাব্য একক প্রার্থী বিভিন্নভাবে প্রচারণাও চালাচ্ছেন। আবার অনেক প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আশায় নিজ নিজ দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে লবিংও শুরু করেছেন। পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে বর্তমান ও সম্ভাব্য মেয়র, কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রায় দুই মাস ধরে চালিয়ে যাচ্ছেন এসব প্রচার-প্রচারণা।

আওয়ামীলীগের যেসব সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে রয়েছেন, নওগাঁ জেলা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক নজিপুর পৌর মেয়র আলহাজ্ব আমিনুল হক, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল খালেক চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক রেজাউল কবির চৌধুরী বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সমাজ সেবায় জাতীয় স্বর্নপদক প্রাপ্ত আজাদ রহমান।

অপরদিকে বর্তমান পৌর মেয়র ও পৌর বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন বিএনপি থেকে একক প্রার্থী হিসাবেই মনোনয়ন আশা করছেন।
শুধু মেয়র প্রার্থীই নয়, কাউন্সিলর পদেও ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মাঠ চষে বেড়াচ্ছে দুই প্রধান জোটের প্রার্থীরা। তবে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে সর্বশেষ কে চূড়ান্ত প্রার্থী থাকছেন তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরো বেশ কয়েকদিন।

কাউন্সিলর প্রার্থী ১নং ওয়ার্ড- দিলিপ দাস, মহাদেব চন্দ্র হাওলাদার, নুরুল ইসলাম জামাদার, হোসেন আলী, আবু সাঈদ, লিটু ফকির। ২নং ওয়ার্ড- গৌতম দে, জাহাঙ্গির আলম, কাজি সবেদুল ইসলাম, সনজিৎ দত্ত, অরুন পাল। ৩নং ওয়ার্ড- আলহাজ্ব আব্দুল মজিদ, আলহাজ্ব বজলুর রশিদ, রমজান আলী সরদার, আবু সুফিয়ান, শাহীর হোসেন শিপন (শিপু), ফজলুর রহমান। ৪নং ওয়ার্ড- যুগল চন্দ্র দেবনাথ, শহীদুল আলম বেন্টু, ফজলুল হক, কাউছার আলী, বাসেদ আলী। ৫নং ওয়ার্ড- সুদর্শন সাহা, আমজাদ হোসেন। ৬নং ওয়ার্ড- দিলিপ চৌহান, মতিবুল ইসলাম বুলু, আব্দুস সাত্তার, দিপেন্দ্রনাথ দাস (টগর), সামসুল হক মহুরী, আপেল মাহমুদ, মামুন হোসেন, সমির চন্দ্র। ৭নং ওয়ার্ড- আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ, রশিদুল ইসলাম, রমজান আলী, ইব্রাহীম হোসেন আমীন, আনোয়ার হোসেন, শাহাজাহান আলী, ওবায়দুল ইসলাম নান্টু। ৮নং ওয়ার্ড- যগদীশ চন্দ্র সাহা (বাচ্চু), বিমল চন্দ্র দাস, সোহরাব হোসেন। ৯নং ওয়ার্ড- সুকুমার চন্দ্র দাস, মিল্টন উদ্দীন, মিজানুর রহমান মিতু, বিজন কুমার দাস (বিল্টু), ডাঃ সুমন কুমার দাস, নিত্য গোপাল দাস। এবং সংরক্ষিত মহিলা আসন ১,২,৩ নং ওয়ার্ড- শিরীন আক্তার, কল্যানী রাণী ঘোষ, ফারহানা মমিন, মাহফুজা রায়হান। ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ড- রাশিদা বেগম, শাহানাজ বেগম, দিপালী রাণী। ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ড- মঞ্জুয়ারা বেগম, রেজুয়ানা রিনি এবং ফারহানা খাতুন।

নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটারদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং নিজেদের পক্ষে সমর্থন আদায়ের চেষ্টায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে তারা দোয়া ও সহযোগিতা চাইছেন। সব কিছু মিলিয়ে সরগম হয়ে উঠেছে নজিপুর পৌর এলাকা। প্রার্থীরাসহ পৌরবাসি অপেক্ষায় রয়েছেন বড় দুই দলের কে হচ্ছেন মেয়র প্রার্থী। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনকে সামনে রেখে বিল রোর্ড থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের দোয়া চেয়ে পোষ্টার, দেয়াল লিখন তুলে ফেলার নির্দেশ দিলেও এখন পর্যন্ত সেগুলি খুলে ফেলা কিংবা দেয়াল থেকে তুলে ফেলা হয়নি।

পত্নীতলা উপজেলা নির্বাচন অফিস সুত্রে জানাগেছে, ২০১৪ সালের হিসাব মোতাবেক নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলা সদর নজিপুর পৌরসভা এলাকার মোট ভোটার সংখ্যা ১৪হাজার ৬৪৮জন। এরমধ্যে পুরুষ ৭হাজার ২৭৫জন ও মহিলা ভোটার ৭হাজার ৩৭৩জন। হাল গননায় আরো ১১হাজার ৫৬১জন নতুন ভোটারের তালিকা প্রনয়ন করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই