ধৈর্যের অভাব রয়েছে আফ্রিদির

বিশ্বকাপে এক সঙ্গে ছিলেন দলের সাথে। বিশ্বকাপের পরেই তাদের ভাঙন শুরু। অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়ান আফ্রিদি। অন্যদিকে কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ান ওয়াকার ইউনুসও। সরে গিয়েই যেন সুপ্ত ক্ষোভকে একবারে ঝেড়ে দিলেন ওয়াকার ইউনুস। বর্তমানে আইপিএলের ধারাভাষ্যকার এবং সানরাইজার্স হায়দারাবাদের বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করছেন ওয়াকার।

ক্রিকইনফোতে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়াকার বলেন, ‘অধিনায়ক হিসেবে শহীদ আফ্রিদির খুঁত সবার চোখেই ধরা পড়েছে। ওর ধৈর্যের অভাব রয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ও খুবই অধৈর্য। একথা আমি আমার রিপোর্টে লিখেছি, যা দুর্ভাগ্যজনকভাবে ফাঁস হয়ে যায়। যার পরিণতিতে আফ্রিদির সঙ্গে ভেঙে যায় আমার সম্পর্কও।’

আফ্রিদির সঙ্গে তার কোন ঝামেলা নেই বলে মন্তব্য করেন ওয়াকার। শুধু জয়টাই চেয়েছিলেন সাবেক কোচ; কিন্তু আফ্রিদি মাঠে সেটা প্রয়োগ করতো না। ‘আমি যখন খেলা ছাড়ি, আফ্রিদি তখন আমার অনেক জুনিয়র। তাই ওর সঙ্গে আমার কোনো ঝামেলা ছিল না। শুধু একটি লক্ষ্য পূরণের জন্য আমি চেয়েছিলাম সম্পর্ক ভালো রাখতে। সেটি হল জয়। প্রত্যেকেই প্রত্যেকের চেয়ে আলাদা; কিন্তু যতদিন লক্ষ্য অভিন্ন এবং দলের জন্য ভালো থাকে, ততদিন আমি তাতে কোনো সমস্যা দেখি না।’

মিসবাহ এবং সালমান বাটের সময়েও কোচের দায়িত্বে ছিলেন ওয়াকার। তাদের প্রশংসায় ভাসিয়েছেন সাবেক এই পেসার। ‘মিসবাহর সঙ্গে চমৎকার সম্পর্ক ছিল আমার। ওর ক্রিকেট টেম্পারমেন্ট অসাধারণ। ওর সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ক্রিকেট নিয়ে কথা বলা যায়। সালমান বাটের সঙ্গেও আমার ভালো সম্পর্ক ছিল। দুর্ভাগ্যের বিষয়, ২০১০-এ স্পট ফিক্সিং-কাণ্ডে ও জড়িয়ে পড়ে। তা না হলে মিসবাহ কিংবা আফ্রিদি হয়তো অধিনায়ক হতে পারত না।’



মন্তব্য চালু নেই