ধীরে ধীরে বৃক্ষ মানবে পরিণত হচ্ছে সাত বছরের রিপন

সাত বছরের রিপনের গাছের সাথে গভীর সম্পর্ক থাকার কথা ।চারা গাছের মতো তার স্বভাব কিন্তু গাছের মতো তার আকার ধারণ করবে কিংবা গাছের কোন অংশ তার শরীরের দেখা যাবে তা সে যেমন ভাবেনি ভাবায়নি পরিবারেরে সদস্যদেরও। অচিরেই বদলে যাছে শরীরে বিভিন্ন অংশ।

হাত পা বদলাতে শুরু করেছে ।হাত পরিণত হচ্ছে গাছেরে ঢালে সাথে পায়ের অংশ ও প্রচণ্ড যন্ত্রণায় ভোগছে রিপন ।পুত্রের কান্নায় কাঁদছে মা বাবাও ।কোন সমাধান নেই তাদের কাছে ।তবে চিকিৎসক রা বলছেন এই রোগের নাম এপিডার্মোডাইস্প্ল্যাসিয়া ভারুসিফর্মিস’। জিনঘটিত এই রোগের ফলে হাত ও পায়ের চামড়া ফেটে, মাংস জমাট বেঁধে গাছের ছাল-বাকলের মত হয়ে যাচ্ছে।

নিজের হাতে খাওয়া, হাঁটাচলা কিছুই করতে পারে না রিপন।যে সময় রিপনের স্কুলে যাওয়ার কথা সে সময় রিপন আছে ঢাকা মেডিকেলের বেডে । রিপন প্রথম নয় এর আগে বৃক্ষমানব হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন আবুল বাজান্দার।তার হাতে প্রথম অস্ত্রোপচার করছিলেন । ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) তার আঙ্গুলের অস্ত্রোপচারকরা হয়েছিল।

চিকিৎসকদের মতে আবুল বাজান্দার ফ্রি ম্যান সিনড্রপ নামে পরিবিচত রোগে আক্রান্ত। তার হাত ও পায়ের আঙ্গুলগুলো গাছের শিকড়ের মত হয়ে গেছে এবং তা দিনে দিনে বড় হচ্ছে হিউম্যান প্যাতিলোমা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণেই এই রোগ হয়ে থাকে।

১০ বছর ধরে আবুল বাজান্দার এই রোগে ভুগছেন।তবে গত মাসের শেষদিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়।

রিপনকেও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তার দশা এখনও আবুলের জায়গায় পৌঁছায়নি বলে আশার আলো দেখছেন ডাক্তাররা।



মন্তব্য চালু নেই