ধর্ষণের মামলা দেয়ায় কিশোরীকে তুলে নিয়ে গেল ধর্ষকরা!

সিলেট : প্রেমের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে, কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে আল-আমিন ও তার বন্ধুরা। পরে ধর্ষিতার পরিবারমামলা দায়ের করলে ঘর থেকে ওই কিশোরীকে তুলে নিয়ে যায় ধর্ষক আল-আমিন ও তার সহযোগীরা।

গতকাল রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে উত্তর বালুচর জোনাকি আবাসিক এলাকার নিজ বাসা থেকে মেয়েটিকে তুলে নিয়েযায় ধর্ষক ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় শাহপরান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন কিশোরীর বাবা সেলিম মিয়া।

সেলিম মিয়া সাংবাদিকদের জানান, তার মেয়ের সঙ্গে একই এলাকার আল-আমিন নামের এক সিএনজি অটোরিকশা চালকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ৫ মে মেয়েকে বেড়ানোর কথা বলে দলদলি চা বাগানে নিয়ে যায় আল আমিন ও তার সহযোগী মানিক মিয়া।

চা বাগানে ধর্ষণ করে মেয়েকে ফিরিয়ে দেয় তারা। মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) ভর্তি করানো হয়।

গত ৮ মে ওসিসির প্রতিবেদনটি বিমানবন্দর থানায় পাঠানো হয়। কিন্তু যে এলাকায় এ নির্মম ঘটনাটি ঘটেছে, সেই এলাকা বিমানবন্দর থানাধীন না হওয়ায় প্রতিবেদনটি শাহপরান থানায় স্থানান্তর করা হয়।

তিনি আরো জানান, ওসিসির প্রতিবেদনটি থানায় দেয়া হয়েছে এমন খবর আল-আমিন জেনে যায়। এরপর থেকে থানায় মামলা দায়ের না করার জন্য হুমকি দিয়ে আসছে আল আমিন।

তবে গত ১৯ মে শাহপরান থানায় আল-আমিন ও তার সহযোগী মানিক মিয়ার বিরুদ্ধে একটি নারী নির্যাতন মামলা (মামলা নং ১৭) দায়ের করেন ধর্ষিতার বাবা।

সেলিম মিয়া আরও জানান, ধর্ষিতার মা সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হোস্টেলে রান্না করেন। রোববার সন্ধ্যায় মেয়েকে ঘরে একা রেখে তার মা রান্না করতে যান। এ সময় আল আমিন ও তার সহযোগী মানিক মিয়া এসে ওই কিশোরীকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে যায়।



মন্তব্য চালু নেই