দ্বিতীয় ধাপের ৬১ ইউপিতে প্রার্থী পায়নি বিএনপি

ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনেও ৬১টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী দিতে পারেনি বিএনপি। নির্বাচন কমিশন ও বিএনপি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে প্রথম ধাপের নির্বাচনেও ৭১টির মতো ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থী দিতে পারেনি। ৩১ মার্চ দ্বিতীয় ধাপে ৬৪৪টি ইউপিতে ভোট গ্রহণ করা হবে।

জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৬৪৪টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬১টিতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী দিতে পারেনি বিএনপি। এ ধাপে ১৩ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। যাদের সবাই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী।

ইসির তথ্য মতে, ৬৪৪ ইউপির মধ্যে ১০টিতে আওয়ামী লীগের এককপ্রার্থী ও ৫৮ ইউপিতে বিএনপির প্রার্থী নেই। ফেনীর ৩টি ইউপিতে কেবল আওয়ামী লীগের প্রার্থী রয়েছেন। সে হিসেবে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী ১০টির স্থলে বেড়ে হয়েছে ১৩টি। এবং বিএনপির প্রার্থী ইউনিয়ন ৫৮ এর স্থলে হবে ৬১টি।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, মূলত গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর জেলার বেশিরভাগ ইউপিতে বিএনপির প্রার্থী নেই। যেসব ইউপিতে বিএনপির কোনও প্রার্থী নেই, সেগুলো হলো গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের তারাপুর, রামজীবন, গোপালগঞ্জ কোটালীপাড়া উপজেলার আমতলী, বান্দাবাড়ী, হিরণ, কলাবাড়ী, কুশলা, পিঞ্জুরি, রাধাগঞ্জ, রামশীল, সাদুল্যাপুর, শোয়াগ্রাম, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্র দিঘলিয়া, গোবরা, পোপীনাথপুর, জালালাবাদ, কাজুলিয়া, করপাড়া, লতিফপুর, মাঝিগাতী, সাতপাড়, সুকতাইল, উরফি, নিজড়া, পাইককান্দি, রঘুনাথপুর, সাহাপুর, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ৫ নং দুর্গাপুর, জামালপুর সদরের বাঁশচড়া, জয়পুরহাট সদরের পরানপৈল, ঠাকুরগাঁও রানীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড়, নেকমরদ, দিনাজপুর ফুলবাড়ীর আদলীপুর, বিরামপুরের দিওড়, খানপুর, পলিপ্রয়াগপুর, পাবনার ফরিদপুর উপজেলার ফরিদপুর, মাদারীপুর সদর উপজেলার বাহাদুরপুর, ছিলারচর, ধলাইল, কালিকাপুর, শিলখাড়া, দুধখালী, কেন্দুয়া, মুস্তফাপুর, মুঞ্জীগঞ্জের সিরাজদীখানের চিত্রকোর্ট, রাজনগর, রংপুরের পীরগঞ্জের শ্যানেরহাট, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের তেলিখালী ও ইসাকমল। এছাড়া ফেনীর চিথিলা, বক্স মাহমুদ ও মির্জানগরেও বিএনপির কোনও প্রার্থী নেই।

তবে নির্বাচন প্রার্থী চূড়ান্তকরণের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিএনপি নেতা এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, গত ৭ বছর ধরে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলা, মামলা, জেল, জুলুম, হুলিয়া, দমন-পীড়নসহ নানারকম নির্যাতনের কারণে যোগ্য অনেক প্রার্থী রাজনীতি করার সুযোগ পাচ্ছে না।

তার মতে, দ্বিতীয় ধাপে ৬৭১ টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মধ্যে ১৫টি স্থগিত করা হয়েছে। তারা ইতিমধ্যে ৬৪১ জন প্রার্থী চূড়ান্ত করেছেন। এছাড়া স্থানীয় নির্বাচন হওয়ায় শরীক দল জামায়াতকে পাঁচটি ও অন্যান্যদেরকে কয়েকটি ইউপি ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি।

তিনি আরো বলেন, বাস্তবতার কারণেই যেসব ইউপিতে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা সম্ভব হবে না সেখানে বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সমর্থন দেয়া হবে।



মন্তব্য চালু নেই