দ্বিতীয় তিনদিনের ম্যাচ : ব্যাকফুটে বাংলাদেশ ‘এ’ দল

প্রথম তিনদিনের ম্যাচে একটি রাজ্য দল, কর্ণাটকের কাছে হারতে হয়েছিল বাংলাদেশ ‘এ’ দলকে। আশা ছিল, যদি দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানো যায় এবং সিরিজটি ড্র করা যায়! সিরিজ ড্র করতে হলে দ্বিতীয় তিনদিনের ম্যাচে অবশ্যই ভারতীয় ‘এ’ দলকে হারাতে হবে মুমিনুল হকদের। ভারতীয় ‘এ’ দলকে তো হারানো দুরের কথা, উল্টো নিশ্চিত পরাজয়ের মুখে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ ‘এ’ দল।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ‘এ’ দলকে ২২৮ রানে অলআউট করে দিয়ে ব্যাট করতে নেমে যেন রানের পাহাড় গড়তে নেমেছিলেন ভারতীয় ‘এ’ দলের অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান। বাংলাদেশের বোলারদের পেয়ে নিজের হারানো ফর্মটা আবার ফিরে পাওয়ার মোক্ষম সুযোগ পেয়ে গেলেন। আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের জন্য নিজের প্রস্তুতিটাও বেশ ভালোভাবে সেরে নিলেন তিনি। খেললেন ১৫০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। তার সঙ্গে ব্যাট হাতে বাংলাদেশের বোলারদের ওপর চড়াও হয়েছিলেন করুন নায়ার এবং বিজয় শঙ্কর।

শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে ৪১১ রানে গিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ ‘এ’ দলকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ করে দেয় ভারতীয় ‘এ’ দল। ১৮৩ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে মুমিনুল হকরা। তবে ব্যাট করতে নেমে বরাবরেই মতই ব্যাটিং ব্যর্থতা। ওপেনার এনামুল হক বিজয় আরও একবার নিজেকে প্রমাণের ক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন। প্রথম ইনিংসের মতো আবারও আউট হলেন কোন রান না করে। একই ম্যাচে দু’বার গোল্ডেন ডাক।

আরেক ওপেনার সৌম্য সরকারও নিজেকে প্রমানে ব্যর্থ। যদিও তিনি গোল্ডেন ডাক মারেননি। ২৩ বলে ১৯ রান করে আউট হয়েছেন। যতক্ষণ উইকেটে ছিলেন সৌম্য, ততক্ষণ তিনি ভেবেছিলেন এটি টি২০ ম্যাচ। কারণ, ২৩ বলে খেলা তার ১৯ রানের ইনিংসটির ১৮ রানই এসেছে বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারি থেকে। ৩টি বাউন্ডারির সঙ্গে খেলেছেন ১টি ছক্কার মার। শেষে জয়ন্ত যাদবের বলে করুন নায়ারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।

ম্যাচের দ্বিতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের রান দাঁড়াল ২ উইকেট হারিয়ে ৩৬। উইকেটে রয়েছেন অধিনায়ক মুমিনুল হক ৯ রান নিয়ে। তার সাথে রয়েছেন লিটন দাস, ৭ রানে। ভারতীয় ‘এ’ দলের প্রথম ইনিংসের চেয়ে এখনও ১৪৭ রান পিছিয়ে মুমিনুল হক অ্যান্ড কোং। হাতে আছে আর ৮ উইকেট।



মন্তব্য চালু নেই