দ্বিতীয় ইচ্ছাও পূরণ হলো না কামারুজ্জামানের

মৃত্যুর আগে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে শেষ দুটি ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামান। কিন্তু প্রথম ইচ্ছার পর দ্বিতীয় ইচ্ছাও পূরণ হলো না তার।

তার দ্বিতীয় ইচ্ছা ছিল মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর সুরতহাল রিপোর্ট শেষে গোসল না করিয়ে যেন পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর তার লাশ গোসল করিয়ে ও কাফন পরিয়ে কফিনের বক্সের ভেতর ঢুকিয়ে এ্যাম্বুলেন্সে তোলা হয়। পরে তা শনিবার রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে শেরপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।

ফাঁসির সময় উপস্থিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, রাত সাড়ে ১০ টায় ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। রাত ১০টা ১৮ মিনিটে ফাঁসির মঞ্চের কাছে যান প্রতিনিধি দল। এরপর ১০টা ৩০ মিনিটে কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। ১৫ মিনিট তাকে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এরপর দায়িত্বরত সিভিল সার্জন আবদুল মালেক মৃধা তার ঘাড়, হাত ও পায়ের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। পরে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা প্রথমে তাকে গোসল করায়। গোসলের পর তাকে কাফন পরিয়ে কফিন বক্সে ঢুকানো হয়।

উল্লেখ্য, কামারুজ্জামানের ইচ্ছা ছিল শুক্রবার যেন তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় এবং মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর তার সুরতহাল রিপোর্ট শেষে গোসল না করিয়ে যেন পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।



মন্তব্য চালু নেই