দেড় মাস ধরে লাশ দুটি পড়ে আছে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে

মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত কালাম ওরফে হিরণ ওরফে তুহিন (৩২) ও নোমান ওরফে আবদুল্লাহ (৩৫) মরদেহ একমাসেরও বেশী সময় ধরে পড়ে রয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাপসাতাল মর্গে।

এর মধ্যে কামাল জামায়াতুল মুজাহিদিনের (জেএমবি) ঢাকা অঞ্চলের নতুন কমান্ডার ছিলেন। নিহত অপর জঙ্গি সদস্য নোমান ছিলেন ঢাকা অঞ্চলের অপারেশনাল কমান্ডার। পুলিশের দাবি, কামাল আশুলিয়া চেকপোস্টে পুলিশ সদস্য হত্যা এবং পুরান ঢাকায় হোসেনী দালানে বোমা হামলায় জড়িত ছিলেন।

শুক্রবার কথা হলে মর্গের ইনচার্জ সেকান্দার আলী বলেন, ‘দুটি লাশ নিয়ে চরম বিড়ম্বনায় পড়েছি। এই লাশ দু’টির জন্য অন্য লাশ রাখারও জায়গা পাচ্ছি না। আবার সকাল-বিকেল সাংবাদিকরা এসে বার বার জানতে চায় কিসের লাশ, কেউ নিচ্ছেন না কেন? এমন নান ধরনের প্রশ্ন।’

এদিকে ঢামেক ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোহলে মাহমুদ বলেন, ‘পুলিশকে বারবার তাগিদ দেয়ার পরও লাশগুলো বুঝে নিচ্ছে না। দুই লাশ নিয়েতো আমাদের পড়ে থাকলে চলে না।’

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাম্প ইনসচার্জ এসআই মোজাম্মেল হক জানান, গত ১৩ জানুয়ারি আটক এক জঙ্গি সদস্যকে নিয়ে শিকদার মেডিকেলের পেছনে অভিযানে যান ডিবির এসি সানোয়ারের ইউনিট। এসময় আরো দুই জঙ্গি মোটরসাইকেলে এসে তাদের ওপর হামলা চালায়। তখন বন্দুকযুদ্ধে তুহিন ও নুমান নিহত হয়। পড়ে হাজারীবাগ থানা পুলিশ লাশ দু’টি ময়না তদন্তের জন্য মর্গে রেখে যায়।

সংশ্লিষ্টরা জানান, আশুলিয়ার হত্যা ছাড়াও গাবতলীতে চেকপোস্টে পুলিশ হত্যা, কামরাঙ্গীরচর ও মিরপুরে জেএমবির আস্তানা ও পুরান ঢাকায় তাজিয়া মিছিলের আগে বোমা হামলায় জড়িত ছিলেন কামাল। কয়েকজন জেএমবির নেতাকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তার নাম উঠে আসে।

ডিমএপির উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মারুফ হাসান সরকার বলেন, ‘নিহত দুইজনই জঙ্গি সদস্য। এর মধ্যে কামাল ওরফে হিরন গাবতলী ও আশুলিয়ায় পুলিশ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল।’



মন্তব্য চালু নেই