দেহ ব্যবসায় রাজি না হওয়ায় স্ত্রীকে গণধর্ষণের পর হত্যা

দেহ ব্যবসায় রাজি না হওয়ায় কয়েকজন সহযোগী নিয়ে স্ত্রীকে গণধর্ষণের পর হত্যা করেছে এক বাস হেলপার। ঘটনার প্রায় আড়াই মাস পর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর পুলিশে কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন মোকলেসুর রহমান নামে ওই ব্যক্তি।
শুক্রবার রাজশাহীর বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আবু ওবায়দা খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজশাহীর পবা থেকে গ্রেপ্তারকৃত স্বামী মোকলেছুর রহমান ওরফে ভগা বাগমারা থানা পুলিশের কাছে এ স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
মোকলেছুর রহমান(৩৫) নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার দুবোইল গ্রামের বাসিন্দ এবং পেশায় বাসের একজন হেলপার।
বাগমারা থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দেড় বছর আগে মোকলেছুর রহমানের সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার রাজবাড়ী বিশালপুর গ্রামের জেসমিন আক্তারের(২০) বিয়ে হয়। জেসমিন মোকলেছের তৃতীয় স্ত্রী ছিলেন।
বাগমারা থানা পুলিশের সূত্র জানায়, মোকলেছ তার তৃতীয় স্ত্রী জেসমিনকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করাতে চাইলে জেসমিন তাতে রাজি হয় না। পরে মোকলেছ কয়েকজন সহযোগি নিয়ে জেসমিনকে ধর্ষণ করে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। গত ২৩ জুলাই রাতের অন্ধকারে জেসমিনের লাশ বাগমারা উপজেলার কানাইশহর গ্রামের একটি পুকুরে কচুরিপানার মধ্যে বিবস্ত্র অবস্থায় ডুবিয়ে রাখে।
পর দিন ২৪ জুলাই লাশটি ভেসে উঠলে গ্রামবাসী বাগমারা থানা পুলিশকে সংবাদ দেয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
বাগমারার হাটগাঙ্গোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ পরিদর্শক(এসআই) মাসুদ আলী জানান, গ্রেপ্তারকৃত মোকলেছের আরো দুটি স্ত্রী রয়েছে। জেসমিনকে দিয়ে সে দেহব্যবসা করাতে চাইলে জেসমিন রাজি না হওয়ায় তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যার কথা স্বীকার করেছে মোকলেছ। ওই সময় বাগমারা থানা পুলিশ বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে ময়নাতদন্তে জেসমিনকে হত্যা করার বিষয়টি জানা যায়।
এ বিষয়ে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আবু ওবায়দা খান জানান, এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত মোকলেছের সঙ্গে আরো তিন জন জড়িত রয়েছে। তাদের পরিচয়ও পাওয়া গেছে। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান শুরু করেছে।



মন্তব্য চালু নেই