দেহের সুস্থতায় ভিটামিন ডি এর উপকারিতা

দেহের সুস্থতায় ভিটামিন ডি এক অপরিহার্য উপাদান। হাড় ও দাঁতের সুস্থতাসহ নানা কাজে ভিটামিন ডি এর সরাসরি ভূমিকা রয়েছে। এর অভাবে আবার হতে পারে শারীরিক নানা সমস্যা। এর অভাব পূরণে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার যেমন- দুধ, মাশরুম, সামুদ্রিক মাছ, বাদাম, মাখন, সূর্যমূখীর তেল ও পনির খাওয়া উচিৎ। তবে সূর্যের আলো ভিটামিন ডি এর অন্যতম একটি উৎস। হালকা রোদে সামান্য ব্যায়াম করলে ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণ হয়। ভিটামিন ডি এর উপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেক কিছুই জানি কিন্তু পুরোটা কি জানি? শরীরে ভিটামিন ডি এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেব।

* ভিটামিন ডি এর অভাবে হাড়কে মজবুত করার পাশাপাশি শরীরে নানান রকমের বিরূপ প্রভাব দূর করে।

* অকারণে অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়া রুখতে ভিটামিন ডি কার্যকর। তাই ভিটামিন ডি এর অভাব আছে কিনা সেটা আগেই সনাক্ত করে সেই অভাব পূরণ করে ফেলা উচিৎ।

* মাংসপেশীর দূর্বলতার অন্যতম কারণ হতে পারে শরীরের ভিটামিন ডি এর অভাব। বিশেষ করে মাংসপেশী বেড়ে যাওয়া এবং মাংসপেশী কাঁপার মতো সমস্যাগুলো সাধারণত ভিটামিন ডি এর অভাবেই হয়ে থাকে। এসব সমস্যা সমাধানে ভিটামিন ডি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

* অধিকাংশ সময় বিষণ্ণ থাকার অন্যতম কারণ ভিটামিন ডি এর অভাব। সারাক্ষণ মানসিক চাপ অনুভূত হলে এবং কোনো কারণ ছাড়াই অতিরিক্ত বিষণ্ণতায় ভোগা হতে পারে ভিটামিন ডি এর অভাবের প্রভাব। নিজের মানসিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে এসব সমস্যা পেলে খাওয়া উচিৎ ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার।

* সামান্য উচুতে পড়ে যাওয়া বা আঘাতে হাড়ে চির ধরে যাওয়া সমস্যা আছে অনেকের। সামান্য চাপে প্রচণ্ড ব্যাথাও অনুভূত হতে পারে। এসব সমস্যা তাড়াতে খুবই কার্যকরী ভিটামিন ডি।

* একটু শক্ত হাড় চিবুতে গেলেই কিংবা পেঁয়ারার মতো শক্ত ফলে কামড় দিলেও দেখা যায় আপনার দাঁতের কোণা ভেঙে যাচ্ছে। এসব সমস্যা দূর করতে খান পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার।

* উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও ভিটামিন ডি বেশ পারদর্শী। শরীরে যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন ডি না থাকলে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায়।

* অধিকাংশ মানুষের অভিযোগ একটাই- সারাদিন শারীরিক পরিশ্রম করেও প্রতিদিন ঘুমাতে হচ্ছে সমস্যা। দেরিতে ঘুম আসে, আবার ঘুমিয়ে থাকলেও চট করে ঘুম ভেঙে যায়। এসব সমস্যা তাড়াতে ভিটামিন ডি দারুণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম।



মন্তব্য চালু নেই