‘দেশ রক্ষার জন্য সংলাপে বসুন’

বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী রাজনৈতিক সংকট নিরসনে আলোচনায় বসার জন্য আবারও দুই নেত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বই বেশি। আমি আশাকরি, দেশ রক্ষার জন্য সরকার ও বিরোধী পক্ষের শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং আলোচনায় বসবে।’

বারিধারার বাসভবনে সোমবার বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ সব কথা বলেন।

সাবেক রাষ্ট্রপতি বি. চৌধুরী বলেন, ‘দেশ জ্বলছে। মানুষ মরছে। অর্থনীতি ধ্বংস হচ্ছে। অর্থমন্ত্রীর ভাষায়, ঢাকার বাইরে সরকারের কর্তৃত্ব নেই।’

তিনি বলেন, ‘বন্দুক দিয়ে, পুলিশ দিয়ে দমন-পীড়ন করে রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান হবে না। রাজনীতির সমাধান করতে হবে রাজনীতি দিয়ে। এই পরিস্থিতিতে উভয় নেত্রীকে উদার হতে হবে। ছাড় দিতে হবে।’

বিদেশীদের মাধ্যমে সংলাপ হলে তা দেশের জন্য লজ্জাজনক হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিডিআর বিদ্রোহের সময় ৫৬ সামরিক কর্মকর্তা হত্যাকারীদের সঙ্গে এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম ইস্যু নিয়ে সন্তু লারমার সঙ্গে আলোচনা করতে পারলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলতে সমস্যা কোথায়? দ্রুততম সময়ে শেখ হাসিনা সমস্ত সমস্যার সমাধান করতে পারেন।’

বি. চৌধুরী বলেন, ‘৫ জানুয়ারি কোনো নির্বাচন হয় নাই। ৫-১০ ভাগ মানুষের বেশি ভোট দিতে পারে নাই। আওয়ামী লীগও বলেছিল, ওই নির্বাচন ছিল সংবিধান রক্ষার জন্য। সুতরাং জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য দ্রুত একটি নির্বাচন করতে হবে।’

খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ের সামনে নৌমন্ত্রীর সমাবেশ সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বি. চৌধুরী বলেন, ‘ওই সমাবেশে নৌমন্ত্রীর বক্তব্য হাস্যকর। তিনি জনগণকে লেলিয়ে দেন কেনো? খালেদা জিয়াকে কোলে করে কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়ার কথাটি একটি খারাপ উদাহরণ হয়ে থাকবে।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বি. চৌধুরী বলেন, ‘বিকল্পধারা সহিংস রাজনীতির বিরোধী। হরতাল-অবরোধে ক্ষতি হয় দেশের মানুষের। কিন্তু দুইটি দল ক্ষমতায় থাকতে বা ক্ষমতার বাইরে থাকার সময় একই ভাষায় কথা বলে, একইরকম আচরণ করে। আমরা অশান্তি-বিশৃঙ্খলা চাই না।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিকল্পধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি. চৌধুরী।



মন্তব্য চালু নেই