দেশে ট্রাফিক পুলিশ পদে হিজড়া নিয়োগ

পরবর্তী অর্থবছর থেকে দেশের ট্রাফিক পুলিশ পদে হিজরাদের নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সমাজে পিছিয়ে পড়া ও বঞ্চিত তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের পুনর্বাসন এবং তাদের কর্মক্ষেত্রের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মুক্ত করার প্রচেষ্টা হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

আজ (বুধবার) দুপুরে ঢাকা ট্রিবিউনের অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, হিজরাদের নিয়োগ কেবল তাদের লিঙ্গ পরিচয়ের ওপর ভিত্তি করে নয়, বরং একইসাথে তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতার ওপর ভিত্তি করেও চূড়ান্ত করা হবে।

গতকাল মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার একটি কমিটি সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী বিষয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী এএমএ মুহিত।

সরকারিভাবে পরবর্তী বিচার-বিশ্লেষণ অনুযায়ী সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়ার ধরন কেমন হবে, তা চূড়ান্ত করা হবে।

না নারী, না পুরুষ- তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের বাংলাদেশের সমাজে হিজড়া হিসেবে বহুকাল থেকে পরিচিত থাকলেও এদেশে একটি পৃথক ও স্বতন্ত্র লিঙ্গ হিসেবে তাদের স্বীকৃতি দেয়া হয় ২০১৩ সালে। সেসময় তাদের শিক্ষা ও অন্যান্য মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়েও জোর দেয়া হয়।

দীর্ঘদিন ধরেই সামাজিকভাবে একঘরে হয়ে থাকা এবং ন্যূনতম মৌলিক অধিকার না পাওয়ার বিষয়ে অভিযোগ করে আসছেন এদেশে হিজড়া সম্প্রদায়ের মানুষ।

২০১৩ সালে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক জরিপ থেকে জানা যায়, দেশে বসবাসরত হিজড়ার সংখ্যা ১০ হাজার।

বৈঠকে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অতিরিক্ত ৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয় এবং সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর অধীনে ভিক্ষুক ও এতিমসহ সক্ষম মানুষদের জন্য বেশ কয়েকটি নতুন আইনের বিষয়েও আলোচনা হয়।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী একেএম মোজাম্মেল হক, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মোহসিন আলী এবং নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি।



মন্তব্য চালু নেই