দেশে এক ব্যক্তির ‘উন্মাদলীলা’ চলছে : রিজভী

বর্তমান সরকারের শাসনামলকে এক ব্যক্তির ‘উন্মাদলীলা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সরকারকে প্রতিহত করতে না পারলে সমাজে সভ্যতা, সুস্থতা বিনষ্ট এবং নাগরিক স্বাধীনতা আরো বিপন্ন হবে বলেও মনে করেন তিনি।

বুধবার সকালে নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দেশে এখন নিরঙ্কুশ ক্ষমতাবান এক ব্যক্তির সালতানাত চালু হয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য মোসাহেবদের দিয়ে রাজনৈতিক দলের নামে দেশে একটি মাত্র দল থাকবে, যারা মূলত একটি দুর্বৃত্তদের গ্যাংয়ের ন্যায় সারা দেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে জনগণকে দমিয়ে রাখবে।’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার আগে পারাবতের মতো নিরীহ আচরণ করে। আর ক্ষমতা হাতে পেলে বিষাক্ত সাপের মতো চতুর হয়ে ফণা তোলে। ক্ষমতায় এসে তারা নিষ্ঠুর রাজার মতো খেয়ালখুশির বশবর্তী হয়ে জনগণকে পীড়ন করে।’

ক্ষমতাসীন সরকারের মন্ত্রীদের বক্তব্যকে ‘বস্তির সংস্কৃতির’ সঙ্গে তুলনা করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘ভোটারবিহীন প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে তার নেতাদের বক্তব্য শুনলে মনে হয়, বস্তির বিদ্যমান সংস্কৃতির পাঠশালাই হচ্ছে এদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সে জন্য তাদের মুখে অসভ্য শব্দ ছাড়া সুরুচিপূর্ণ শব্দ আসে না।’

নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিল করতে সরকার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে গ্রাসের পরে এবার বিচার বিভাগের মাথায় বন্দুক রেখেছে বলেও মন্তব্য করেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘চিরস্থায়ী ক্ষমতাবলয় তৈরি করে রাখার জন্য আদালতে দলীয় বিচারক নিয়োগ দিয়ে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের জেল-জুলুমের অক্টোপাসে জড়িয়ে ফেলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’

দুদককে সরকারের ‘বিশ্বাসভাজন ধোলাই লন্ড্রি’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে রিজভী বলেন, ‘এই লন্ড্রি থেকে মাদক ব্যবসায়ী এমপি, ভূমিদস্যু মন্ত্রী, আন্তর্জাতিকভাবে অভিযুক্ত দুর্নীতিবাজদের অভিযোগ সাফাই হয়ে বের হয়ে আসে। আর বিএনপির বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ দাঁড় করিয়ে মামলা-মোকদ্দমায় সরকারের নীলনকশা বাস্তবায়ন করে।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন ও যুবদলের সহসভাপতি আবদুস সালাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই