দেশে আমি এক নম্বর কিন্তু অলিম্পিকে এসে বুঝলাম আমি কিছুই না

ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত অলিম্পিকের এবারের আসরে অংশগ্রহণ করতে বাংলাদেশ থেকে যারা গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে একমাত্র ব্যতিক্রম ছিলেন দেশ সেরা গলফার সিদ্দিকুর রহমান। কেননা, একমাত্র তিনি নিজের যোগ্যতায় সরাসরি অলিম্পিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পেয়েছিলেন। তাকে ঘিরে অনেক প্রত্যাশা ছিলো দেশবাসীর।

অলিম্পিক গলফের প্রথম রাউন্ডের মোট ১৮ হোলের প্রথম নয়টিতে ভাল করেও শেষ পর্যন্ত পারেন নি সিদ্দিকুর রহমান। শেষ নয়টিতে তিনি খেই হারিয়ে ফেলেন।

সেখানে ইন সেকশনে তিনি পারের চেয়ে মোট ৪টি শট বেশি খেলেন। ফলে প্রথম রাউন্ড শেষে তার স্কোর দাঁড়ায় পারের চেয়ে চার শট বেশি, অর্থাৎ ৭৫।

১৩, ১৪ ও ১৫ নম্বর হোলে তিনি টানা তিনটি বোগি করেন অর্থাৎ নির্ধারিত শটের চেয়ে একটি করে বেশি শট খেলেন। পরে ১৭ নম্বর হোলেও তিনি একটি শট বেশি খেলেন। পারের চেয়ে চার শট বেশি খেলেছেন সিদ্দিকুর ছাড়া মাত্র একজন। ৬০জন প্রতিযোগীর মাঝে সিদ্দিকুরের নিচে ছিলেন মাত্র তিনজন।

রিও থেকে ঢাকাতে ফেরার পথে বাংলাদেশের একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, সত্যি কথা বলতে এখানে এসে একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবে আমি ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছি। একজন অ্যাথলেটের সাফল্যের পেছনে কত শ্রম, সাধনা… তা না দেখলে বোঝা যাবে না।

এসময় তিনি আরও বলেন, দেশে আমি এক নম্বর গলফার, আমাকে সবাই চেনে, নিজেকে নিয়ে মাঝে মাঝে গর্বও হয়। কিন্তু এখানে এসে দেখেছি একেকজন অ্যাথলেটের লক্ষ্য কত উঁচুতে, তার জন্য কি পরিমাণ নিজেকে ঢেলে দেওয়া, সে তুলনায় আমি কিছুই না।



মন্তব্য চালু নেই