দেশের মানুষ বিএনপির আচরণের নিন্দা করেছে: সোবহান

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুতে খালেদা জিয়াকে সমবেদনা জানাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ফিরে আসার প্রসঙ্গে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘বিএনপি ওই দিন যে আচরণ করেছে সেজন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইবে কিনা তা তাদের ওপরই বর্তায়। সারাদেশের মানুষ বিএনপির এ আচরণের নিন্দা করেছে। প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান না করাটা তাদের মানবিক দৈন্যতা ছাড়া আর কিছু নয়।’

সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। পেট্রোলবোমায় পুড়িয়ে মানুষ হত্যা, রাষ্ট্রীয় এবং জনসাধারণের সম্পদে অগ্নিসংযোগ ও দেশের উন্নয়ন অর্থনীতি ধ্বংসকারী হরতাল-অবরোধের প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ।

তিনি বলেন,‘বিএনপি-জামায়াত জোট ধ্বংসাত্মক ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করলে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি আলোচনার পথ তৈরি হতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের নামে সারাদেশে নাশকতা চালিয়ে সাধারণ মানুষের অধিকার হরণ করছে বিএনপি-জামায়াত জোট। নাশকতা বন্ধ করে দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনার দায়িত্বও তাদেরকে নিতে হবে।’

জামায়াত-বিএনপির কর্মসূচির মাধ্যমে সাধারণ মানুষ অগ্নিদগ্ধ হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের জীবন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। যাদের নির্দেশে এই সহিংসতা পরিচালিত হচ্ছে সকল দায়দায়িত্ব তাদেরকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান সংগঠনের পক্ষ থেকে তিনটি কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এগুলো হলো- আগামীকাল মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে স্মারকলিপি প্রদান, ৩১ জানুয়ারি সকাল ১১টায় শাহবাগ থেকে প্রেসক্লাব পর্যন্ত সমাবেশ ও পদযাত্রা এবং ৪ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টায় সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে পেশাজীবীদের সমাবেশ।

এছাড়া প্রতিটি জেলায় পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের কর্মসূচি চলবে বলেও জানান কামরুল হাসান।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. নুর মোহাম্মাদ তালুকদার, কৃষিবিদ মোহাম্মাদ মোবারক আলী, অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, প্রকৌশলী এস এম খবীরুজ্জামান, অ্যাডভোকেট মোতাহার হোসেন সাজু, অধ্যাপক নাজমা শাহীন প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই