দেশের পথে কোকোর লাশ

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর লাশ নিয়ে তার স্বজনরা দেশের পথে রওয়ানা হয়েছেন।

চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান  জানান, বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটায় কুয়ালালামপুর থেকে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের একটি বিমান (এমএইচএমএইচ-১০২ নং ফ্লাইট) কোকোর লাশ নিয়ে যাত্র শুরু করে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় কোকোর কফিন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছবে।

বিএনপির উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল তার লাশ গ্রহণ করে সরাসরি মা বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে নিয়ে যাবে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা জানান দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

তিনি বলেন, ‘সেখানে পরিবারের সদস্যরা ছাড়া অন্য কেউ আসতে পারবে না। এরপর কোকোর লাশ বিকেলে ৪টার মধ্যে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে নেওয়া হবে। সেখানে বাদ আসর তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজার পর সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য লাশ কিছুক্ষণ সেখানে রাখা হবে।’

নজরুল ইসলাম খান জানান, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম থেকে কোকোর লাশ সরাসরি বনানীর সামরিক কবরস্থানে নেওয়া হবে। সেখানে কোকোকে দাফনের জন্য ইতোমধ্যেই আমাদের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়েছে। কোকো বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধানের সন্তান। আশা করি, তার দাফন সেখানে হবে।

কোকোর কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ছিল না দাবি করে নজরুল ইসলাম দলমত নির্বিশেষে সবাইকে, বিশেষ করে ঢাকা মহানগরের সর্বস্তরের মানুষকে তার জানাজায় শরিক হওয়ার আহ্বান জানান।

নজরুল ইসলাম খান বিএনপি ও কোকোর পরিবারের পক্ষ থেকে তার মৃত্যুতে দেশবাসী, দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও যারা দেশ-বিদেশ থেকে বিভিন্নভাবে সমবেদনা ও শোক জানিয়েছেন, তাদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা ও আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

বিমানবন্দরে কোকোর লাশ গ্রহণের জন্য বিএনপির প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন- দলের স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, আবদুল্লাহ আল নোমান ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী।

এদিকে, আরাফাত রহমান কোকোর প্রতি সন্মান জানাতে সোমবার থেকে বিএনপির তিন দিনের শোক শুরু হয়েছে। দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। নেতাকর্মীরা বুকে কালোব্যাজ ধারণ করেছেন।

এ ছাড়া এই তিন দিন সারাদেশের মসজিদে মসজিদে কোরআনখানি ও দোয়া মাহফিল হবে।



মন্তব্য চালু নেই