দেবীর সন্তুষ্টির জন্য গরম কয়লায় পুড়লেন পিতা-পুত্র!

গত রোববার পাঞ্জাবের জলন্ধর প্রদেশে একটি পূজা অনুষ্ঠানের সময় বাবা ছয় বছর বয়সী ছেলে কার্তিককে গরম কয়লার মধ্যে ফেলে দেন। গুরুতর আহত অবস্থায় ছেলেটিকে হাসপাতালে ভর্তি করান হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাবা ছয় বছরের ছেলে কে কোলে নিয়ে গরম কয়লার মধ্যে হাঁটছিলেন এবং কিছুক্ষণ পরেই তিনি ভারসাম্য হারিয়ে গরম কয়লার মধ্যে পড়ে যান ।

“ঈশ্বর কার্তিককে সুস্থ করে তুলবেন” এই ধারণায় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা কার্তিক ও তার বাবাকে হাসপাতালে পাঠাতে নারাজ ছিল। উপস্থিত দর্শক জোর করে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যায়।

ডাক্তার জাংপ্রীত সিং এএফপিকে বলেন, “কার্তিকের মুখ ও শরীরের ২০ থেকে ২৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে, তাকে গত রোববার জরুরি ইউনিট এ ভর্তি করা হয় । আর কার্তিকের বাবার প্রায় ১৫ শতাংশ পুড়েছে যা ঠিক হতে ৫ থেকে ৭ দিন সময় লাগতে পারে।”

একটি ছবিতে দেখা যায়, কার্তিক তখন ব্যাথায় চিৎকার করছিল এবং উৎসুক জনতা তাকে ওঠানোর চেষ্টা করছে। এসময় কার্তিকের পরনে সাদা গেঞ্জি এবং গলায় গাঁদা ফুলের মালা ছিল।

ওইদিন দেবী মা মারিয়াম্মা এর সম্মানে প্রায় ৬০০ উপাসক জলান্ধর কাজী মন্দিরে উপস্থিত হয়েছিল। প্রাচীন হিন্দু রীতিতে আছে, দেবতাকে খুশি করার জন্য ৭ দিন উপোষ থেকে ওই গরম কয়লার মধ্যে হাঁটতে হবে। তিন বছর আগেও এক মা তার মেয়েকে নিয়ে গরম কয়লার মধ্যে পড়ে গিয়েছিল।

স্থানীয় বিজেপি বিধানকর্তা মনোরঞ্জন কালিয়া পিতা-পুত্র কে দেখতে গিয়েছিলেন । তিনি তাদের কে ১০০০০ রুপি দান করেন এবং তাদের কে মেডিক্যাল ইন্সিটিউট অব পাঞ্জাব এ পাঠাতে নির্দেশ দেন।-সূত্র: এনডিটিভি।



মন্তব্য চালু নেই