দেবরের কাটা যৌনাঙ্গ নিয়ে থানায় হাজির গৃহবধূ

কাটা যৌনাঙ্গটা থানার টেবিলে ফেলে গৃহবধূ জানালেন, ‘‘এ ছাড়া আমার আর কোনও উপায় ছিল না৷ আমার দেবরের অত্যাচার থেকে বাঁচতে আমি ওর যৌনাঙ্গটাই কেটে নিয়েছি৷ গোটা ঘটনায় প্রথমে ভারতের মধ্যপ্রদেশের সিদ্ধি জেলার চুরাহাতের পুলিশ হতবুদ্ধি হয়ে গেলেও, পরে তারা আক্রান্তকে বাঁচাতে ছুটে যায়৷ কিন্তু তার আগেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে ওই যুবক৷

পুলিশকে মহিলা জানিয়েছেন, তিন সন্তানকে নিয়ে দেবরের সঙ্গে একই বাড়িতে থাকতেন তিনি৷ তাঁর স্বামী নাসিকে কাজ করেন৷ গত কয়েকদিন ধরে তাঁকে ক্রমাগত ধর্ষণ করেছে তাঁর দেবর। অনুনয়-বিনয়ে কাজ না হওয়ায়, অত্যাচার থেকে বাঁচতে তিনি তাই চরম রাস্তা নেন৷

যখন দেবর তাঁর উপর শারীরিক অত্যাচার চালাতে আসে, তখন তাঁরও সম্মতি রয়েছে বলে অভিনয় করেন ওই বধূ৷ তারপর সুযোগ বুঝে কাঁচি দিয়ে কেটে দেন দেবরের যৌনাঙ্গ৷ প্রমাণ স্বরূপ সেই যৌনাঙ্গ নিয়েই চলে আসেন থানায়৷

সিদ্ধির পুলিশ সুপার আবিদ খান জানান,খবর পেয়ে খন পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে বাঁচাতে যায় তখন সে আর বেঁচে ছিল না৷ তার নিথর দেহ ঝুলছিল বাড়ির পাশের গাছে৷ এই ঘটনায় খুনের অভিযোগে ওই গৃহবধূকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷

পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে মহিলা মানসিকভাবে সুস্থই৷ কৃতকর্মের জন্য তাঁর কোনও আফশোসও নেই৷



মন্তব্য চালু নেই