দৃষ্টিনন্দন সূর্যমুখী তেলের অসাধারণ গুণ

ফুলের সঙ্গে তেলবীজ হিসেবে সূর্যমুখী আমাদের সবার কাছে পরিচিত। সুন্দর এই ফুলটি সখের বাগান সাজাতে খুব পারদর্শী। বানিজ্যিকহারে তেল উৎপাদনেও এর তুলনা হয় না। দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে সূর্যমুখীর চাষ মাঠের পর মাঠ দৃষ্টি জুড়ায় সূর্যের হাসিমাখা দৃশ্যে। দৃষ্টিনন্দন সূর্যমুখী বীজের তেলে রয়েছে অসাধারণ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা। আর তাই সুস্থ থাকতে অনেকেই নিজেদের রান্নার কাজে এই তেল ব্যবহার করে থাকেন। জানা যাক সূর্যমুখী বীজের অসাধারণ স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে।

* মরণঘাতী ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে মানবদেহে কিছু কোষ সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। সূর্যমুখীর বীজ সেই কোষের ক্ষতি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। সূর্যমুখী বীজে আছে সেলেনিয়াম নামক উপাদান, যা ক্যান্সারকে প্রতিরোধে অত্যান্ত শক্তিশালী।

* যারা বেশি মাত্রায় মানসিক চাপে ভোগেন তাদের জন্য সূর্যমুখী বীজতেল অত্যান্ত জরুরি। সূর্যমুখী বীজের ম্যাগনেসিয়াম উপাদান আমাদের মানসিক চাপ দূর করে, মাইগ্রেনের সমস্যা দূর করে এবং আমাদের মস্তিষ্ককে শান্ত রাখতে সাহায্য করে।

* সূর্যমুখী বীজ আমাদের দেহের হাড় সুস্থ রাখে ও মজবুত করে। হাড় মজবুত করতে এই তেলে প্রয়োজনীয় ম্যাগনেসিয়াম ও কপার পাওয়া যায়। সূর্যমুখী বীজে থাকা ভিটামিন ই আমাদের দেহে বাতের ব্যথা দূর করতে সহায়তা করে।

* আপনার ত্বকের সজীবতা বজায় রাখতে সূর্যমুখী বীজ সাহায্য করে। এই তেলে থাকা ভিটামিন ই আমাদের ত্বককে সূর্যের আল্ট্রা-ভায়োলেট রশ্মি থেকে বাঁচায়।

* সূর্যমুখী বীজ আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে। সূর্যমুখী বীজে থাকা প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেণ্ট দেহের প্রতিটি হাড়ের সংযোগে ব্যথা, গ্যাস্ট্রিক আলসার, দেহের চামড়ায় জ্বালা-পোড়া, হাঁপানি ইত্যাদি রোগ সারিয়ে তোলে। প্রতিদিন দুই টেবিল চামচ সূর্যমুখী বীজ আমাদের হার্ট এর সমস্যা থেকে দূরে রাখে।

* সূর্যমুখী বীজ আমাদের দেহের অপ্রয়োজনীয় কলেস্টরোল দূর করে হার্টকে ভলো রাখতে সাহায্য করে। সুস্থ থাকতে প্রতিদিন আপনি বাদামের মতো সূর্যমুখী বীজ ভেজে খেতে পারেন।



মন্তব্য চালু নেই